বিধানসভার আগে বিরোধীদের চাপ বাড়িয়ে আরও শক্তপোক্ত হল গেরুয়া শিবির! জানুন বিস্তারিত ভাবে অন্যান্য বিজেপি রাজনীতি September 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিধানসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে অনেকগুলি রাজ্য সেই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বললেও তা মানতে চায়নি শীর্ষ আদালত। তাই নির্ধারিত সময়সীমা মেনেই বিধানসভা ভোট হবে বিভিন্ন রাজ্যে। আর সেই তালিকায় নভেম্বর মাসেই ভোট হওয়ার কথা বিহারের। অন্যদিকে বিহারকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন অনেকগুলি প্রকল্পের। যার মধ্যে কিছু প্রকল্পকে তিনি ইতিমধ্যে ভার্চুয়ালি সূচনা করে ফেলেছেন বলে জানা গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে তাই এবছরের শেষের দিকে রাজনৈতিকভাবে নতুন সরকার পাওয়ার কথা বিহারের। তবে এই ভোটের প্রাক্কালে বিহারের লড়াইয়ে বিরোধীদের থেকে কিছুটা যে এনদিএ শিবির এগিয়ে রয়েছে সে কথা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লালুপ্রসাদ যাদব জেলে থাকায় বিরোধী শিবিরগুলির কাছে লালুপ্রসাদের দল অনেকটাই দুর্বল। আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয়, বিহারের বিরোধী দলগুলো। জানা যায়, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কুশওয়াহা এনডিএ ছেড়ে যখন বিরোধী শিবিরে আসেন, তখন তাঁর ইচ্ছা ছিল, বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়ে নিজের ওজন বাড়িয়ে নেবেন। সেই সঙ্গে আসন ভাগকরতেও সুবিধা হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু ফল আশাপ্রদ হয়নি। সেবার সমস্যা হয়েছিল মহাজোটে। অন্যদিকে আরজেডি, কংগ্রেস, বিকাশশীল ইনসান পার্টির সঙ্গে আবার যোগ দিয়েছে বাম গোষ্ঠী। ফলে আপাতত উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে কাঙ্ক্ষিত স্থান দিতে অপারগ আরজেডি-কংগ্রেস। আর সম্ভবত সেকারণেই মহাজোট ছাড়তে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর এখানেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ, বিহারের কুরমিদের মধ্যে কুশওয়াহা বেশ জনপ্রিয়। তাই তিনি দল ছাড়লে মহাজোট যে ভালই চাপে পড়বে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বিহারের বিরোধী মহাজোট ছেড়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির দল হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা বেরিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। আর দল ছেড়ে তাঁকে সরাসরি যোগ দিতে দেখা গেছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরে। এবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহাও যে মাঝির পথ ধরে বিজেপি শিবিরে নাম লেখানোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন, সেটা বুঝে নিতে পারারই কথা। অন্যদিকে, কুশওয়াহার দল আরএলএসপি জানিয়ে দিয়েছে এনডিএতে ফিরে যাওয়ার সব সম্ভাবনা খোলা আছে। তাদের কথায়, মহাজোটের দুই বড় সঙ্গী কংগ্রেস এবং আরজেডি এখনও ঠিকই করতে পারেনি, তাঁরা কার নেতৃত্বে কীভাবে লড়বেন। তেজস্বীই যে নেতা হবেন কিনা সেটা এখনো ঠিক হয়নি। এই অবস্থায় ছোট জোটসঙ্গী হিসেবে স্থির থাকা সম্ভব না। অন্যদিকে জিতন রাম মাঝির জোট ত্যাগের পরও বিরোধী শিবিরে চূড়ান্ত সমন্বয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে এনডিএতে ফেরাটা তাই স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -