এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিরোধীদের নিকেশ করতে গিয়ে কি পরোক্ষে বিপদ বাড়ছে তৃণমূলের? কি বলছেন বিশ্লেষকরা?

বিরোধীদের নিকেশ করতে গিয়ে কি পরোক্ষে বিপদ বাড়ছে তৃণমূলের? কি বলছেন বিশ্লেষকরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১১ সালে রাজ্যের চৌতিরিশ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর থেকে বারবার ভাঙ্গন ধরেছে কংগ্রেস ও বাম শিবিরে। এই দুই দল থেকেই বহু নেতাকর্মী যোগদান করেছেন তৃণমূলে, অনেকে আবার যোগদান করেছেন বিজেপিতে। আর এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাম, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা শূন্য হয়ে পড়েছে। একজন মাত্র আইএসএফ বিধায়ক ছাড়া একমাত্র বিরোধীদল হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। এখন প্রশ্ন ওঠে বাম, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের নিকেশে কি বিপদ বাড়তে পারে তৃণমূলের?

প্রসঙ্গত, রাজ্যে কংগ্রেস জমানায় বিরোধীদের উপরে যেভাবে মারধর, সন্ত্রাস চলত বাম জামানাতে তার বদল ঘটে নি। এসময় সিপিএম ছাড়াও ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপির মতো সরিকেরা, যে যেখানে শক্তিশালী ছিল, সেই এলাকায় তারা নিজেদের মুক্তাঞ্চল বানিয়েছিল। বাসন্তী, গোসাবার মতো বেশ কিছু এলাকা ছিল লালদুর্গ বলে পরিচিত, এছাড়াও লালদুর্গ বলে পরিচিত ছিল কেশপুর, গড়বেতা, আরামবাগের মত এলাকাগুলি। বিরোধীদের দমনের ফল পরবর্তীকালে ভোগ করতে হয়েছে সিপিএমকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখন প্রশ্ন তৃণমূলকেও কি এমন অবস্থা ভোগ করতে হবে? প্রসঙ্গত, তৃণমূল জমানায় সিপিএমের নেতা কর্মীদের অনেকে এলাকাছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন। আবার, নির্বাচনের সময় সন্ত্রাস রাজ্যের অনেক দিনের পুরনো বিষয়ে। বহু রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু ঘটে নির্বাচনের সময়। তবে, ইতিপূর্বে ভোটের আগে হিংসাত্মক ঘটনা দেখা যেত, কিন্তু এখন ভোটের পরও ঘটে চলেছে হিংসাত্মক ঘটনা। অন্যদিকে, বাম, কংগ্রেস শূন্য হওয়ায় বিজেপি এবার দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

মসনদ দখল করতে না পারলেও, দলের উত্থানকে কখনোই খাটো করে দেখা যায় না। আবার, একটা সময় সিপিএমকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, ‘ওরা ৩০ আমরা ২৩৫’। ২০০৬ সালে সিপিএমের ভোট ছিলো ৫১%। কিন্তু ৪৯ শতাংশ মানুষ যে সিপিএমের বিপক্ষে ছিলেন, তা হয়তো তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন। এই ভুল তাদের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরবর্তীকালে। সে কথা মনে রেখেছেন সকলেই। যদিও, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এখনো সেই অবস্থায় পৌঁছয়নি তৃণমূল।

এছাড়া তৃণমূলের উন্নয়নের ওপর এখনও আস্থা আছে রাজ্যের মানুষের। আবার সংখ্যালঘু ভোটের একটা বড় অংশ রয়েছে তৃণমূলের হাতে। এরপরেও বিরোধীদের ওপর যথেচ্ছ আঘাত হানলে, খারাপ পরিণাম ভোগ করতে হতে পারে দলকে, এমনটা মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। বিরোধীদেরও রাজনৈতিক কাজকর্মের সুযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুধুমাত্র ভোটের আগে তাদেরকে কাজ করতে দেওয়া, অন্য সময় তাদের দমন করে রাখলে, খারাপ ফল ভোগ করতে হতে পারে শাসকদলের, এমন ফল ভোগ করতে হয়েছিল একদিন কংগ্রেসকে, পরবর্তীতে সিপিএমকে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!