এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব নিয়েই একেবারে তেড়ে-ফুঁড়ে ময়দানে শুভেন্দু, তীব্র হুঁশিয়ারি তৃণমূলকে

বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব নিয়েই একেবারে তেড়ে-ফুঁড়ে ময়দানে শুভেন্দু, তীব্র হুঁশিয়ারি তৃণমূলকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের একজন লড়াকু নেতা তথা জননেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর বিশেষ স্থান রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলে থাকাকালীন রাজ্যের নানা স্থানে দলের সাম্রাজ্য বিস্তারে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিনি গ্রহণ করেছিলেন। বিজেপিতে যোগদানের পর আবার স্বমহিমায় ফিরেছেন তিনি। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জয়যাত্রাকে থমকে দিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতার পদে উন্নীত হয়েছেন তিনি। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক হুঁশিয়ারি দিলেন ও সেইসঙ্গে বিজেপির আগামীদিনের রণকৌশল স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে বারেবারে। বিজেপির নেতা কর্মীদের বেছে-বেছে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে, বারবার অভিযোগ করেছে বিজেপি। এবার এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য তৃণমূলকে সরাসরি দায়ী করেছেন তিনি। তিনি জানালেন, রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মতামতকে অপমান করছে তৃণমূল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ যেথা শির। কিন্তু রাজ্যের মানুষের আজ আর কোন স্বাধীনতা নেই। বর্তমান অবস্থা দেখে মাথা নত হয়ে যাচ্ছে রাজ্যবাসীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির আগামীদিনের রণনীতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, তিনটি আসন থেকে ৭৭ টি আসনে পৌঁছে গেছে বিজেপি। বাংলার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজেপি তার সংগ্রাম জারি রাখবে। তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে বিজেপি। তিনি জানালেন, তৃণমূল যদি শুধরে না যায়, তবে আগামী দিনে তাদের পরিণতি বামেদের মতই হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পর্যন্ত হামলা করেছে তৃণমূল। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। যে ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, জনগণের রায়কে অসম্মান করে গোটা রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে তৃণমূল। বাংলার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করে দিতে সমস্ত রকম চেষ্টা করছে তৃণমূল। বাংলার মানুষ তৃণমূলকে শাসন করার জন্য ভোট দিয়েছিলেন, সন্ত্রাস করার জন্য ভোট দেননি। সরকারের উচিত করোনা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গণতন্ত্রের পরিবেশ নষ্ট করে দিতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, নির্বাচনী প্রচারে তিনি এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী যখন তাঁকে করোনা নিয়ে ডেকেছিলেন বৈঠকে, সে বৈঠকে তিনি যোগদান করেননি।

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে পরাস্ত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই জায়েন্ট কিলার অভিধায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁকেই বিরোধী দলনেতা করা হবে, এমন একটা জল্পনা চলছিল। তবে, অনেকে মনে করেছিলেন মুকুল রায় বিরোধী দলনেতার পদে বসতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীকেই বিরোধী দলনেতার পদে আনার প্রস্তাব দেন মুকুল রায়। দল এই প্রস্তাব মেনে নেয়। দলের সংগঠনকে মজবুত করে, দলকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর কতটা নিয়ে যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী? সেদিকে দৃষ্টি থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!