বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ সুর এবার রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে, চাপ বাড়ছে কি মোদী সরকারের ওপর? কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতি August 3, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকালই ঠিক হয়েছিল দিল্লিতে মক পার্লামেন্টের জন্য বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই বৈঠকে সমস্ত বিরোধী দলকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী আজকে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে হাজির হয়েছিল প্রায় সমস্ত বিরোধীরা। অন্তত 14 টি বিরোধী দল আজকে রাহুল গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে। অন্যদিকে দুটি বিরোধীদলের অনুপস্থিতি কিন্তু ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে। কার্যত বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদ অচল হয়ে আছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে পেগাসাস ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে, পাশাপাশি এই ইস্যুতে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আর তাই এবার মক পার্লামেন্ট বসবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। আর সংসদে বিরোধী দলের ঐক্যকে আরও জোরদার করতে আজকে বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বিরোধী দলগুলির মধ্যে সদর্থক বার্তা ছড়িয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার কথা বলেছিলেন, সেই ছবি আজকে দিল্লির বুকে দেখা গেল। রাহুল গান্ধীর ডাকে চোদ্দটি বিরোধী দলের নেতারা হাজির হয়েছিলেন। এক-একটি দল থেকে একাধিক নেতা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিনের বৈঠকে কংগ্রেস তো ছিলই, পাশাপাশি তৃণমূল, আরজেডি, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, সিপিআই, সিপিএম, আরএসপি, আইইউএমএল, কেসিএম, ন্যাশনাল কনফারেন্স, জেএমএম এবং ডিএমকে এই বৈঠকে জাজির হয়েছিল। এই বৈঠকে কংগ্রেসের 100 সাংসদকে দেখা গিয়েছে। রাহুল গান্ধী ছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন মল্লিকার্জুন খারগে, অধীর চৌধুরী, কেসি ভেণুগোপাল, জয়রাম রমেশ এর মতো নেতারা। অন্যদিকে আগেরবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে গেলে বিস্তর বিতর্কের জন্ম হয়। কিন্তু এবার তৃণমূল আর সেই ভুল করেনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ ব্যানার্জ্জী সহ প্রায় 10 জন প্রতিনিধি হাজির হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এই বৈঠকে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ অনুপস্থিত ছিল। অবশ্যই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মায়াবতীর দল এই বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে জল্পনা বাড়িয়েছেন। তবে আপ এর আগেও বহুবার কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য আপ নেতা সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ হল; সংসদে বিরোধী দলকে সমর্থন করা। বিশেষ করে সংসদে কৃষকদের কোন বিষয় কিংবা আড়িপাতার বিষয়টি যখনই উঠেছে, তাঁরা বিরোধীদেরই সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে উত্তর থেকে দক্ষিণের বিরোধী শিবিরের বিভিন্ন দলের নেতারা হাজির হয়েছিলেন। যা বর্তমান রাজনীতিতে অত্যন্ত চমকপ্রদ বলেই মনে করা হচ্ছে। কার্যত এই দিনের বৈঠকে মক পার্লামেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি পেগাসাস এবং কৃষি বিল নিয়ে সরকারের ওপর এভাবেই চাপ বজায় রাখার ব্যাপারে সমস্ত বিরোধীরা একমত হয়েছেন। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতন বিরোধীদের ঐক্য বজায় রাখার কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিরোধীরা যত একজোট হবে, ততই কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়বে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, একটি নন ইস্যুকে তুলে ধরতে চাইছে বিরোধীরা। নন ইস্যু বলতে এখানে পেগাসাসকেই বলা হচ্ছে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, গত সপ্তাহে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে যে সুর তুলেছিলেন বিরোধীদের একজোট করতে, আজকে রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য বিরোধীরা সেই সুরেই ধরা দিয়েছেন। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে যেভাবে উত্তর থেকে দক্ষিণ সমস্ত বিরোধী নেতা নেত্রীরা হাজির হয়েছেন, তাতে কিন্তু গেরুয়া শিবিরের ওপর চাপ বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত নজর থাকবে এবার মক পার্লামেন্টের দিকে। আপনার মতামত জানান -