এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পরেও পুজোর আগেই পুরোহিতদের অ্যাকাউন্টে টাকা! হাসি চওড়া তৃণমূলের

বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পরেও পুজোর আগেই পুরোহিতদের অ্যাকাউন্টে টাকা! হাসি চওড়া তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের দরিদ্র পুরোহিতদের জন্য পুজোর মাস থেকেই মাসিক এক হাজার টাকা ভাতা দানের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, গৃহহীন পুরোহিতের আবাস যোজনার মাধ্যমে গৃহের বন্দোবস্ত করে দেবেন। তবে, দূর্গা পূজার আগেই পুরোহিত ভাতা চালু করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় ছিল অনেকের মনেই। তবে, শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের চাপের মধ্যেও পুজোর আগেই পুরোহিতদের একাউন্ট টাকা দিতে পেরে বেশ কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। তবে, গৃহহীন পুরোহিতদের গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা করে দিতে বেশ কিছুটা সময়ের প্রয়োজন আছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে দরিদ্র পুরোহিতদের মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা ও গৃহহীন দরিদ্র পুরোহিতদের গৃহ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে পুজোর আগেই পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে, পুজোর আগেই যা করা রাজ্য সরকারের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন ছিল। আবার এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় হবার ফলে, কাজটি আরো কঠিন হয়ে যায়।

তবে, শেষ পর্যন্ত পুজো শুরুর আগেই রাজ্যের প্রায় ৯৫০০ পুরোহিতের একাউন্টে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের জনৈক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানালেন যে, এই সময়টা সরকারের পক্ষে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে নতুন করে কোনো আইনি জটিলতা তৈরি না হবার ফলে সরকার দ্রুত এই কাজটি করতে পেরেছে।

প্রসঙ্গত, পুরোহিত ভাতার ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন পুরোহিত আবেদন জানান। পঞ্চায়েত স্তর থেকে উপভোক্তাদের নাম ব্লক স্তরে জমা পড়ে। তারপর সেখান থেকে যাচাই করে জেলাশাসক তা পৌঁছে দেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে। তবে, প্রকৃত উপভোক্তাদের যাচাই করতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল রাজ্য প্রশাসনকে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুরোহিতের তালিকা তৈরি তৈরীর কাজ শুরু করেছিলেন
জেলাশাসকেরা শীর্ষকর্তাদের নির্দেশে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বেশকিছু ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুলি পুরোহিতদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করেছে প্রশাসনকে। পুরোহিতদের পারিবারিক পরিস্থিতি বিচার করে তাদের তাদের বিষয়ে তথ্য পাঠানো হয় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে দ্রুত। তবে জেলা থেকে আসা সমস্ত পুরোহিতের নাম গ্রহণ করা হয় নি। বেশ কিছু পুরোহিতের নাম বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের আর্থিক অবস্থা যাচাই করেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমন অনেকে আছেন যাদের যাদের ভাতার কোন প্রয়োজন নেই। আবার ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন অনেকে যারা পুরোহিতই নন। এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের জনৈক কর্তা জানিয়েছেন, ” সব জেলা মিলিয়ে সাড়ে ন’হাজারের অনেক বেশি নাম এসেছিল সরকারের কাছে। তার থেকে প্রকৃত উপভোক্তাদের বাছাই করে তবেই সংশ্লিষ্টদের ভাতা দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে। ”

তবে, গৃহহীন পুরোহিতদের আবাস যোজনা মাধ্যমে বাড়ি তৈরি করে দাওয়া এখনই সম্ভব হয়ে ওঠেনি সরকারের পক্ষে। কারণ আবাস যোজনার সুবিধা পাবার জন্য নিজস্ব জমি থাকা প্রয়োজন। সেই জমির অবস্থা বিচার করে তবেই আবাস যোজনা সুবিধা পাওয়া যায়। এ কারণেই এই পদ্ধতিতে কিছুটা সময় লেগে যাবে। পুরোহিতদের একাউন্টে পুরোহিত ভাতা পৌঁছানোর ফলে যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছেন পুরোহিতেরা, স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। তবে, রাজ্যের বিরোধীদল পুরোহিতের এই ভাতাদানকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!