এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিরোধী শক্তিকে দমাতেই কি সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর? নয়া পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা!

বিরোধী শক্তিকে দমাতেই কি সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর? নয়া পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকার, এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বারবার বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলোতে সিবিআইকে নানা নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরেই তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে তাদের মন্ত্রিসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার নতুন করে সাজতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সম্প্রতি সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর হয়েছেন সুবোধ কুমার জয়সওয়াল। আর ডিরেক্টরের পদে জায়গা পেতে না পেতেই তাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। একাংশ বলছেন, মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারকে চাপে রাখতেই এবার সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে কাজে লাগানো হতে পারে। অর্থাৎ সেদিক থেকে বিরোধী শক্তিকে চাপে রাখবার জন্য যে আবার সিবিআইকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠবে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে, তা বলাই যায়। যাকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ দানা বাধতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুবোধ কুমার জয়সওয়ালকে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর করা হল বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর এরপরই সেই সুবোধ কুমার জয়সওয়ালকে ডিরেক্টর করা নিয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। জানা গেছে, সিবিআইয়ের এক উচ্চপদস্থ অফিসার ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর এমনভাবে কাজ করবেন, যাতে অস্বস্তি বাড়তে পারে শিবসেনা এবং উদ্ধব ঠাকরে সরকারের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সিবিআইয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্তা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই কথা তুলে ধরায় জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তাহলে কি সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর কোনো একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন? একাংশ বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের একটা অংশ আগেভাগেই সুবোধ জয়সওয়ালকে সিবিআই ডিরেক্টর করার সমস্ত রকম চেষ্টা সেরে রেখেছিলেন।

আর শেষ পর্যন্ত তাকেই এই পদে বসানো হয়। আর বর্তমানে শিবসেনা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলা সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টরের প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মত করে সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর সমস্ত কিছু পরিকল্পনা কষতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ।

একাংশ বলছেন, দায়িত্বে বসার পর সিবিআইয়ের নতুন ডিটেক্টর কিভাবে কাজ করেন, তার দিকে সদস্যই সকলের নজর থাকবে। সত্যি সত্যিই যদি সিবিআইয়ের উচ্চ পদস্থ অফিসারের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির সঙ্গে বাস্তব মিলে যায়, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।

কেননা বারবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর তার মাঝেই সুবোধ কুমার জয়সওয়াল ডিরেক্টর হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কার্যত ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!