বিরোধীশূন্য করার স্পৃহা দলকে ক্রমশ পিছনের দিকে ঠেলছে! প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বক্তব্যে ঝড়! তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য September 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এবার তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে জোরদার রাজনৈতিক গুঞ্জন। দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়ে আসছে তৃণমূল এককভাবে সন্ত্রাস চালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জয় লাভ করেছে। আর এবার তৃণমূলের অন্দরেই সেই অভিযোগ আরও একটু উস্কে দিলেন দুর্গাপুর পৌরসভার চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান। আর তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে। দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে বিরোধী দলগুলি। কার্যত বিরোধী-শূন্য পুরসভা চালিয়ে আসছে শাসক দল গত আড়াই বছর ধরে। এই নিয়ে বিরোধীরা দুর্গাপুরে এখনও সরব। আর তার মধ্যেই এবার দুর্গাপুর পৌরসভার চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিরোধীদের সুরেই কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, 43 জন কাউন্সিলর নিয়ে দুর্গাপুর পৌরসভা। প্রত্যেকে জেতার ফলে বর্তমানে শাসক দলকে ক্রমশ পিছিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বিরোধীদের অন্তত 10 জন কাউন্সিলর যদি নির্বাচিত হতেন, তাহলে শাসক দলের পক্ষ থেকে দেখানো সহজ হতো জনপ্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূল কতটা কাজ করতে পারছে। এ প্রসঙ্গে সিপিএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর দিয়েই এবার তৃণমূল ভোল বদলের চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও তাতে লাভ কিছুই হবে না বলে জানান তিনি। অন্যদিকে বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুরভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের পরিচয় সবাই পেয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - 2019 সালে লোকসভা নির্বাচনে মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে আরও পাবে। অন্যদিকে চন্দ্রশেখর বাবুর মন্তব্য অনুসারে বিরোধীদের যে তীব্র কটাক্ষ প্রকাশ পেয়েছে সেদিকে নজর রেখে তৃণমূলের জেলার অন্যতম মুখপাত্র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, “আমাদের দলে যথেষ্ট গণতন্ত্র রয়েছে। অভাব-অভিযোগ প্রত্যেকেরই থাকতে পারে। তবে কারও যদি কিছু বলার থাকে, ব্যক্তিগত কোনও মত থাকে তবে তা তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানাবেন, সেটাই বাঞ্ছনীয়।” বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভার নির্বাচন ঘিরে এমনিতেই ব্যস্ততা তুঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি মন্তব্য করলেন, তা দলের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে তৃণমূল শিবিরও যথেষ্ট অস্বস্তিতে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত দলের অন্দরেই তৃণমূল জনপ্রতিনিধির মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জলঘোলা বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -