প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রবল ভাঙনের পালা চলছে বিজেপিতে। সামনে আরো বড়সড় ভাঙ্গন অপেক্ষা করছে বিজেপির, এমন দাবি বার বার করেছে তৃণমূল। কিছুদিন আগেই তৃণমূলে চলে এসেছেন পরপর দুবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দাপুটে বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে প্রবল কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানালেন, রাজ্য বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা এই মুহূর্তে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন। তৃণমূল দরজা খুলছে না বলে, তাঁরা এখনো যোগ দিতে পারছেন না। তৃণমূল দরজা খুলে দিলে, এই রাজ্যে উঠে যাবে বিজেপি।

বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, এখনো তৃণমূলের আসল খেলা শুরুই হয়নি। যা ২০২৪ সালে শুরু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ভেঙে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩ টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। তিনি জানালেন, দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও তৃণমূল লড়াই করছে। তবে, কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেছে, কিন্তু তৃণমূল জিতে গেছে। তিনি জানালেন, বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদকে আর রাস্তায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তিনি যাতে ত্রিপুরাতে যেতে না পারেন, সে কারণে বিজেপি সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। এভাবে কতদিন তাঁকে আটকে রাখবে বিজেপি? যেখানে বিজেপি সরকার আছে, তৃণমূল সেখানেই যাবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করে সেখানকার ক্ষমতা ছিনিয়ে আনবে তৃণমূল।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে তৃণমূল কোথায় যায়? সেটা গোটা দেশের লোক দেখবেন। তবে তৃণমূল নীতি ও আদর্শের রাজনীতি করে। এজন্য বিজেপির সমস্ত নেতাদের জন্য দরজা খোলে নি। তিনি জানান, আগামী দিনে আসানসোলের সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন বাবুল সুপ্রিয়। আর সেখানে নির্বাচনে জয়লাভ করবে তৃণমূল। আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নোটিশ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, ১৫ দিনে তাঁকে পাঁচটা নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ৫০০ টা নোটিস পাঠালেও মাথানত করবেন না তিনি। তিনি জানালেন, ইডি ও সিবিআই এর মত আরশোলা দিয়ে বাচ্চাদের ভয় দেখাতে, তাঁকে না দেখাতে।

বিজেপিকে প্রবল হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানালেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে দিল্লি ছাড়া করবেন বিজেপিকে। সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হবে গণতান্ত্রিক সরকার। তিনি জানালেন, আচ্ছে দিনের নাম করে সমস্ত কিছু বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যে দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশন, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করতে পেরেছে। কিন্তু বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের ছবি ব্যবহার করে রাজ্যের উন্নয়নের কথা প্রচার করেছে বিজেপি।

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, বিজেপির উন্নয়নের অর্থই হলো শহর ও গ্রামের নাম বদলে দেওয়া। মুর্শিদাবাদ যদি বিজেপি জিতে যেত তাহলে এই জেলার নাম বদলে করে দিত মোদী-শাহবাদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানলেন, বিচ্ছিন্নকামী, বিভেদকামী শক্তিকে জেলা থেকে বের করে দিতে হবে। মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ কখনো মাথা নত করতে জানেন না। তিনি জানালেন, বিধানসভা নির্বাচনে ২০ টির মধ্যে ১৮ টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। বাকি দুটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়ে দিয়ে জেলা থেকে বিদায় করে দেয়া হোক বহিরাগতদের।