এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিশ্বভারতীর মাঠে ‘দেহব্যবসা’? উপাচার্যের সুরেই সরব হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রী! তীব্র বিতর্ক

বিশ্বভারতীর মাঠে ‘দেহব্যবসা’? উপাচার্যের সুরেই সরব হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রী! তীব্র বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বাংলার রাজনৈতিক সমাজে এবং নাগরিক সমাজে বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙ্গা নিয়ে রীতিমত ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল ভাঙা নিয়ে শুরু হয় মারাত্মক অশান্তি। এই অশান্তির কারণ হিসেবে অভিযোগের তীর ওঠে অবশ্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দিকে। কারোর সাথে আলোচনা না করেই তিনি পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দিতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন বলে জানা যায়। যা নিয়ে শুরু হয় এলাকার মানুষদের সঙ্গে এবং আশ্রমের আবাসিকদের সঙ্গে তীব্র অশান্তি।

অন্যদিকে উপাচার্য নিজের প্রতি ওঠা অভিযোগকে খণ্ডাতে গিয়ে বিভিন্ন যুক্তি দেখান। আর তার মধ্যে তিনি মন্তব্য করেন, মেলার মাঠে অনৈতিক কাজকর্ম চলে। মূলত তিনি ইঙ্গিত করেছেন অবাধ যৌনাচারের দিকে। আর এই নিয়ে এদিন একইভাবে বলতে শোনা গেল বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে। সম্প্রতি অগ্নিমিত্রা শান্তিনিকেতনে আসেন এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে পৌষ মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন। আর তার পরেই তিনি একইভাবে পৌষ মেলার মাঠে সেক্স র‍্যাকেত চলার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন।

এই মুহূর্তে যা শান্তিনিকেতনবাসী এবিং বিশ্বভারতীর আবাসিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। মেলার মাঠ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল শান্তিনিকেতনের ছাত্র ছাত্রীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে অবাধ যৌনাচারের কথা বলেন। আর তার সাথে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ করেন, কাটমানি খাওয়ার। যে কারণে পাঁচিল তুলতে তৃণমূল নেতারা বাধা দিচ্ছেন বলে তিনি জানান। অগ্নিমিত্রা পাল পাঁচিল ভাঙার ঘটনায় এদিন সিবিআই তদন্তের দাবি করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও পৌষ মেলার মাঠে দেহব্যবসা চলার অভিযোগ তুলেছিলেন আগেই। আর তারপরেই তিনি প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। জানা গেছে, শান্তিনিকেতনবাসী এবং বিশ্বভারতীর আবাসিকদের সাথে সাথেই বিশ্বভারতী প্রাক্তনীরাও দাবি করেছেন উপাচার্যকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল স্পষ্ট করে এদিন জানিয়ে দেন, পৌষ মেলার মাঠে শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারাই যায়। সেখানে কোনো অসামাজিক কাজকর্মের প্রশ্ন ওঠেনা।

অন্যদিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের প্রতিও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দেন, পৌষ মেলায় স্টল বসাতে তৃণমূল নয়, উপাচার্যই কাটমানি খান। এবং তার সাথে উপাচার্য যে বিজেপির শিবিরের একনিষ্ঠ ব্যক্তি সে কথাও জানান তিনি। পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল ভাঙার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। শুরু হয়েছে পাঁচিল ভাঙার অনুসন্ধান। তবে পৌষ্মেলার মাঠে যৌনাচার চলার যে অভিযোগ তুলেছেন উপাচার্য বা বিজেপি নেত্রী, তা নিয়ে তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। অন্যদিকে বিশ্বভারতীর শান্তি ও মর্যাদা উপাচার্যের মন্তব্যে যে প্রবলভাবে নষ্ট হয়েছে তা নিয়ে একমত সমাজের বিশিষ্টজনেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!