এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ, মুশকিল আসান মমতার নির্দেশে চোখের সামনে সরকারি কাজ দেখতে পাবেন রাজ্যবাসী!

বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ, মুশকিল আসান মমতার নির্দেশে চোখের সামনে সরকারি কাজ দেখতে পাবেন রাজ্যবাসী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বছর বছর দুর্যোগে রাজ্যের বিপুল ক্ষতি হয়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে যেমন একের পর এক বাঁধ ভেঙে যাওয়া এবং রাস্তা ভেঙে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনই এই ব্যাপারে সম্প্রতি “ইয়াস” দুর্যোগের পরে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি অর্থ যাতে অপচয় করা না হয়, তার জন্য সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে সরকারি কাজের গুণগত মান নিয়ে সমালোচকদের পক্ষ থেকে একাংশ ক্রমাগত প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল। যা সামাল দিতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে।

তাই এই পরিস্থিতিতে মুশকিল-আসান হিসেবে রাজ্যবাসী যাতে সরকারি কাজের সমস্তটা দেখতে পারেন, তার জন্য বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কাজের আগে এবং কাজের পরের চিত্র প্রকাশ্যে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ সহ পরবর্তী কোটালের জেরে রাজ্যের দুর্যোগ নিয়ে সোমবার একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠকেই সকলকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়ে সরকারি অর্থ যাতে নষ্ট করা না হয়, তার জন্য কড়া নির্দেশ দেন তিনি।

পাশাপাশি বিরোধীদের পক্ষ থেকে এবং সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে বারবার সরকারি কাজ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ তৈরি করার অভিযোগ তুলেছেন একাংশ। তাই এবার মানুষের চোখের সামনে যাতে সেই কাজের চিত্র তুলে ধরা যায়, তার জন্য প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “পুনর্গঠনের কাজ হয়ে যাওয়ার পর ডিসপ্লে বোর্ডে সেই কাজের তথ্য তুলে ধরতে হবে। যাতে মানুষ দেখতে পায়। ক্ষয়ক্ষতির আগের ও পুনর্গঠনের পরের ছবি, দুটিই রাখতে হবে ওই বোর্ডে।” পাশাপাশি আগামী 11 এবং 26 জুন আবার নতুন করে দু’টি বান আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই তার জন্য সকলকে সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কাজ নিয়ে আর কোনো রকম বিতর্ক চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি অর্থ নষ্ট করার ব্যাপারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ আসছে, তাতে এমনিতেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই। কিন্তু বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে প্রচুর অর্থ খরচ করে বাঁধ তৈরি করার পর যদি আবার তা ভেঙে যায়, তাহলে তা যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এমনিতেই করোনা পরিস্থিতি সহ এই দুর্যোগের জন্য প্রতিনিয়ত সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার মোকাবিলা করতে। নানা ইস্যুতে সমালোচকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে আরও জেরবার হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই সেদিক থাকে পুনর্গঠনের কাজের চিত্র যাতে মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়, তার জন্য প্রশাসনকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!