তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পরই মুকুল রায় অভিযোগ করেছিলেন যে, বিশ্ববাংলা একটি কোম্পানি এবং এটা সরকারের সম্পত্তি নয়। যা নিয়ে পরবর্তীকালে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছিল। কিন্তু অবশেষে প্রমাণ হয় যে এই লোগোটি রাজ্যেরই এবং তা ব্যবহার করতে গেলে সরকারের অনুমোদন লাগবে।

কিন্তু এবার আশ্চর্যজনকভাবে সরকারের সেই বিশ্ব বাংলা লোগোকে ব্যবহার করে বেসরকারি সংস্থার কেক বিক্রি করার অভিযোগ উঠতে শুরু করল হলদিয়ায়। জানা গেছে, হলদিয়া মহকুমার বিভিন্ন দোকানে এই বিশ্ব বাংলার লোগো দেওয়া কেক দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে আদৌ সরকারি লোগো ব্যবহার করা যায় কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।

তবে একাংশের মতে, এই প্রথম নয় 2017 সালেও এই সংস্থা বিশ্ব বাংলা লোগো এবং সেই বিশ্ব বাংলা লেখা কেক বিক্রি করেছিল। এদিন এই প্রসঙ্গে হলদিয়ার বাসুদেবপুরের বাসিন্দা শুভদীপ পতি বলেন, “দোকানে বিশ্ববাংলার কেক দেখে ভেবেছিলাম রাজ্য সরকার কেক বিক্রি করছে, তাই কিনতে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম এটা একটা ব্যক্তিগত বেকারি সংস্থার বানানো কেক। গোটা ব্যাপারটি প্রশাসনের দেখা উচিত।”

কিন্তু এই ভাবে কেন কেক বিক্রি করা হচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই সংস্থার আধিকারিক আধিকারিক শিবাশিস মাইতি বলেন, “মানুষের চাহিদা মেনেই বিশ্ববাংলার নাম ও লোগো ব্যবহার করে আমরা কেকের প্যাকেট বানিয়েছি।” কিন্তু যে যার ইচ্ছে মতো এইভাবে কি সরকারি লোগোকে ব্যবহার করতে পারেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে সুতাহাটার বিডিও সঞ্জয় শিকদার বলেন, “ওই কেকের প্যাকেটের নমুনা সংগ্রহ করব। তারপর প্রশাসনিকভাবে যা করার করা হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হলদিয়ার মহকুমাশাসক কুহক ভূষন। তবে এই ব্যাপারে জেলাশাসক রশ্মি কমল সহ একাধিক আধিকারিককে ফোন করলেও তারা কোনরূপ প্রতিক্রিয়া দেননি। সব মিলিয়ে এবার বেসরকারি সংস্থার কেকে সরকারের লোগো বিশ্ব বাংলা ব্যবহার করায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হলদিয়ায়।