বিশ্বভারতী বর্তমানে কুস্তির আখড়া! ব্যথিত সুধীজন সমাজ প্রতিবাদে এগিয়ে এলেন মানবিক দাবি নিয়ে বিশেষ খবর মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য August 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে বিশ্বভারতীর পাঁচিল কান্ড ঘিরে উত্তাল বাংলার নাগরিক সমাজ। সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে শুরু হয় মারাত্মক অশান্তি। অভিযোগের তীর অবশ্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দিকে। কারো সাথে আলোচনা না করেই তিনি যেভাবে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দিতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন, তা নিয়ে অশান্তি বাঁধে। অন্যদিকে উপাচার্য এই ঘটনার পেছনে তৃণমুলকেই দায়ী করেছেন। মোদ্দা কথা, বিশ্বভারতীর এই পাঁচিল কান্ড ঘিরে এই মুহূর্তে শিকেয় উঠেছে বিশ্বভারতীর নিজস্ব সংস্কৃতি বলে দাবি করছেন অনেকেই। এই অবস্থায় বাংলার বিদ্বজ্জনেরা জানাচ্ছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি বিশ্বভারতী কালে কালে কুস্তির আখড়া হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টরা নিজেদের মানবিক দাবি নিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন এবার। জানা গেছে, বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ একটি খোলা চিঠি লিখেছেন এবং সেই চিঠিতে খ্যাতনামা নাট্যকার, সঙ্গীতকার সহ অন্তত কুড়ি জুন নিজেদের স্বাক্ষর দিয়েছেন। বিশ্বভারতীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দায় মুখর হয়েছেন নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তী, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত থেকে সংগীতশিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্র, কল্যাণ সেন বরাট প্রমুখরা। পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বভারতী উত্তপ্ত হয়েছিল। কিন্তু উপাচার্য কারোর কথায় কোন কান না দিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেলার মাঠে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু করেন। বেশ কিছুটা পাঁচিল তোলার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পড়ুয়াদের একাংশ সেই পাঁচিল রীতিমতো যন্ত্র সহকারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বলে খবর। অন্যদিকে এই ঘটনায় বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর তাতেই বিশ্বভারতীর কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনীতি বলে মনে করছেন অনেকেই। পাঁচিল তোলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে পড়ুয়াদের একাংশ বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আপাতত পাঁচিল কান্ডকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতী রীতিমতো অচল বলে খবর। অন্যদিকে পাঁচিল কান্ডকে কেন্দ্র করে বাংলার বিদ্বজ্জনদের দাবী, রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি, শান্তিনিকেতনের শান্তি এবং বিশ্বভারতীর শিক্ষা- সবকটি নষ্ট হতে চলেছে বর্তমান অশান্তির জেরে। এই পরিস্থিতিতে কবি শঙ্খ ঘোষের পাশাপাশি রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, চন্দন সেন, তরুণ মজুমদার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং দেব শংকর হালদার সহ অনেকেই খোলা চিঠি লিখেছেন। প্রত্যেকেই নিজেদের সংবেদনশীল পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই পরিস্থিতির দ্রুত বদল চাইছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এই ঘটনার পেছনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন অনেকে। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল ভাঙ্গার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল ভাঙ্গা ঘিরে ইতিমধ্যে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তবে শাসকদল তৃণমূল এই ঘটনার পেছনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেই দায়ি করে চলেছে। আপাতত বিশ্বভারতীর শান্তি ও মর্যাদা রক্ষা করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, এখন সেদিকেই নজর সবার। আপনার মতামত জানান -