এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিশ্বভারতীর উপাচার্য ‘কাটমানি’ খান? উনি আসলে বিজেপি নেতা! বেলাগাম হয়ে বিস্ফোরক অনুব্রত!

বিশ্বভারতীর উপাচার্য ‘কাটমানি’ খান? উনি আসলে বিজেপি নেতা! বেলাগাম হয়ে বিস্ফোরক অনুব্রত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিশ্বভারতীর উপাচার্য এবং রাজ্যের বিজেপি দল একযোগে অভিযোগ করেছে, পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে যে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়েছে বিশ্বভারতী চত্বরে, তার পেছনে দায়ী তৃণমূল। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পৌষ মেলা প্রাঙ্গণকে যৌনাচারের কেন্দ্র বলেও অভিহিত করেছেন। যা নিয়ে নিন্দায় ফেটে পড়েছেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকেও ঠারেঠোরে একই রকম মন্তব্য করা হচ্ছে।

তবে সেখানে তৃণমূলের কাটমানি নেওয়ার ব্যাপারটি সামনে এসেছে। আর এ প্রসঙ্গে এবার চাঁচাছোলা মন্তব্য রাখলেন সাংবাদিকদের সামনে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি বিজেপি এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য এর বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেই তিনি বিজেপির নেতা বলে অভিহিত করেন। এদিন পরিষ্কারভাবে অনুব্রত মন্ডল  জানিয়ে দেন, বিশ্বভারতী কাণ্ডে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। বরঞ্চ তিনি বিশ্বভারতীর যাবতীয় অশান্তির পেছনে সেখানকার উপাচার্যকেই দায়ী করেছেন।

এবং কাটমানি প্রসঙ্গ উঠলে অনুব্রত মণ্ডল সোজাসুজি বলে দেন, বিশ্বভারতীর উপাচার্যই এই কাটমানির সঙ্গে যুক্ত। সেখানে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা কাণ্ডে ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। আর এ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল এই প্রথম গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন জানান। বলেন, সত্য সবার সামনে আসা উচিত। সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের উত্তরে রীতিমত বোমা ফাটাতে শুরু করেন অনুব্রত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাংবাদিক যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন, তৃণমূল নেতারা সিমেন্ট চুরি করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। তখন তিনি পাল্টা বিজেপিকেই সিমেন্ট চোর বলে আখ্যা দেন। এবং সর্বশেষ পৌষ মেলা প্রাঙ্গণে যৌনাচার নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিককেই পাল্টা অনুব্রত মণ্ডল সোজাসুজি আক্রমণাত্মক কথা বলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বভারতী কাণ্ড নিয়ে যেভাবে একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন উপাচার্য বা রাজনৈতিক নেতারা, তা কিন্তু সাধারন মানুষ বা আশ্রমের আবাসিকরা মোটেই ভালো ভাবে নিচ্ছেন না।

বিশ্বভারতীর উপাচার্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই বাইরের লোক বলে সম্বোধন করেছিলেন সম্প্রতি। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন আশ্রমের প্রাক্তনীরা এবং আশ্রমের আবাসিকরা। তবে একথা সবাই মেনে নিয়েছেন, পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে যেভাবে একের পর এক অভিযোগ করছেন বিশ্বভারতীর উপাধ্যক্ষ, তাতে কিন্তু বিশ্বভারতীর সম্মান ও শান্তি দুইই নষ্ট হচ্ছে। সমাজের বিশিষ্টজনেরা ইতিমধ্যেই বিসশভারতী কাণ্ড নিয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!