এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মহালয়ার আবহেই বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়! জেনে নিন কেন ও কিভাবে পূজিত হন তিনি?

মহালয়ার আবহেই বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়! জেনে নিন কেন ও কিভাবে পূজিত হন তিনি?


 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিশ্বকর্মা বিশ্বকর্মন শব্দের প্রতিরূপ। আর এই কথার অর্থ হচ্ছে ক্রিয়া, অর্থাৎ যিনি বিশ্বকে সৃষ্টি করেছিলেন বা সকলের সৃষ্টিকর্তা স্বরুপে বিশ্বকর্মা পুজো হয়। সৃজনশীল শক্তি বা মহাবিশ্বের প্রাণেশ্বর স্বরূপও তাঁকে কল্পনা করা হয়। বিশ্বকর্মা শব্দটি মূলত যে কোন দেবতার উপাধি হিসেবেও ব্যবহার হতে পারে। যেমন বেদের সময়ে এসি শব্দ ইন্দ্র ও সূর্যের বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিচিত ছিল। ঋগ্বেদে বিশ্বকর্মার নামটি পাঁচবার পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে মহাবিশ্বের উৎসরূপেও বিশ্বকর্মাকে চিহ্নিত করা হয়।

এছাড়া মনে করা হয় তিনি চার যুগের দেবতাদের জন্য অস্ত্র বা তাদের বাসস্থান নির্মাণ করেছিলেন। যেমন জগন্নাথ দেবের পুরীর মন্দির, দ্বারকা, পুষ্পক রথ, শিবের ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, এবং দধীচির হাড় দিয়ে বজ্র। সাধারণত স্বয়ম্ভু এই দেবতার ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সংক্রান্তিতে জন্ম হয় বলে জানা যায়। তাই এই দিনটি প্রতিবছর বিশ্বকর্মা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে বিশ্বকর্মা পূজা করা হয়ে থাকে। সাধারণত আসাম, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা এবং ত্রিপুরায় এইদিন বিশ্বকর্মা পূজা পালিত হয়। এছাড়া নেপালেও এই উৎসব পালন করা হয় বলেও জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই দিন সাধারণত শিল্প-কারখানা, যেকোনো ধরনের নির্মাণমূলক কাজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, শিল্পী, কারিগর এরা এই পূজা করে থাকেন বলে জানা যায়। কথিত আছে, শিল্পী, কারিগর এবং ব্যবসায়ীদের জন্য এই পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পূজা করলে ব্যবসার বিকাশ ঘটে, ব্যবসায়ীদের ধন সম্পদ এবং সমৃদ্ধি কামনা করা হয় এই পূজার মাধ্যমে। এদিন সাধারণত স্থান করে পবিত্র হয়ে হলুদ কাপড়ে লাল রংয়ের সিঁদুর দিয়ে তার ওপর বিশ্বকর্মা মূর্তিকে বসাতে হয়। পাশে গণেশের মূর্তি রাখতে হয়। এরপর তার সঙ্গে ধুপ মিষ্টি ফল এগুলি সাজিয়ে প্রথমে গণেশ এবং পরে বিশ্বকর্মা পূজা করতে হয়।

এদিন ব্যবসা সংক্রান্ত যেকোন সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতিও পূজা করা হয়। পূজার উপকরণ হিসাবে হলুদ, ফুল, বেলপাতা, লবঙ্গ, মিষ্টি, ফল, ধুপ, প্রদীপ, চাল রাখা হয়। পূজার স্থানে আলপনা দিতে হয়। চারিদিক গঙ্গা জল দিয়ে পবিত্র করতে হয় এবং পূজা শেষে সবাইকে ভক্তিভরে প্রসাদ বিতরণ করাই নিয়ম। তবে এই দিন কিছু জিনিস মেনে চলতে হয় বা করতে নেই। যেমন
১)এদিন ব্যবসাসংক্রান্ত বা পুজোতে উৎসর্গ করা হয়েছে এমন কোন সরঞ্জাম মেশিন এগুলিকে ব্যবহার করতে নেই।
২)এদিন কোন তামাকজাত দ্রব্য বা মাংস বা মদ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
৩) এ দিন আপনার কাছে যদি কেউ অসহায় মানুষ সাহায্য প্রার্থনা করে তবে তাকে এড়িয়ে না গিয়ে তাকে যথাসম্ভব সাহায্য করা উচিত।
৪) এই দিন অনেক জায়গায় অরন্ধন উৎসব পালিত হয়। যেখানে বিভিন্ন বাড়িতে রান্না করা হয় না।
৫)এছাড়া পুজোর আগে সমস্ত বাড়ি, কারখানা বা শিল্পজাত জায়গা পরিষ্কার রাখাই হচ্ছে নিয়ম।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!