এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ‘আতিমারি প্রস্তুতি’ দিবসে বিশ্বকে কি বার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা?

‘আতিমারি প্রস্তুতি’ দিবসে বিশ্বকে কি বার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে প্রথম ‘মহামারী প্রস্তুতি’ দিবস। রাষ্ট্রসংঘ সম্প্রতি তাদের সদস্য দেশগুলিকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন সংঠনকে ২৭শে ডিসেম্বর দিনটি ‘মহামারী প্রস্তুতি দিবস’ হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এখন থেকে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের এই দিনটি বিশ্বজুড়ে মহামারী প্রস্তুতি দিবস হিসেবে পালিত হবে বলেই জানা গেছে।

আজ সেই উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর কথায়, ইতিহাস সাক্ষী যে বারবার মহামারী মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। তাই এটাই শেষ মহামারী নয়। ভবিষ্যতেও মানুষের জীবনে অতিমারি আসবে। কারণ তাঁর কথায়, অতিমারী আমাদের জীবনের অঙ্গ।

শুধু তাই নয়, এই মহামারী মানুষ থেকে শুরু করে পরিবেশের স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর তাৎপর্য আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। তাই মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পরিবেশ তথা বিশ্বের সবকিছুর উপর যে বিপদ নেমে আসছে সেটা আগে প্রতিরোধ করতে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এদিন পুরনো কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, গবেষকরা দাবি করেছেন যে মার্চ-মে মাসে ভারতেও করোনার ‘সুপারস্প্রেডার’ স্ট্রেনের অস্তিত্ব ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সেখানে বর্তমানে বিশ্ব মহামারী রুখতে যে পন্থা অবলম্বন করছে, তাতে তিনি মোটেই সন্তুষ্ট নন বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, যখনই কোনও মহামারী এসেছে, তখনই মানুষ শুধু কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে। তারপর সবকিছু থেমে গেছে। পরে মানুষ ওই মহামারীর কথা ভুলে গেছে এবং এরপর যে মহামারী আসতে পারে, সেই কথা ভুলে গেছে।

ফলে স্বভাবতই তার সঙ্গে লড়াই করার প্রস্তুতি বিশ্ববাসী নেয়নি। তাঁর কথায়, এটা বিপজ্জনক এবং দুরদৃষ্টির অভাব। তবে এবার থেকে কেন এটা হয়, সেটা বোঝা কঠিন হলেও সেদিকে নজর রাখার কথা বলেছেন তিনি। তাই তিনি বিশ্বের সব দেশের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, মানুষ যেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও বেশি করে বিনিয়োগ করে। বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যে।

এরফলে আমাদেরই সন্তানরা এবং পরবর্তী প্রজন্ম মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগাড় করতে পারে। বস্তুত, এবছর করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে ভীতি সঞ্চার করেছে করোনার নতুন স্ট্রেন। সেখানে করোনার ভ্যাকসিন এখনো আবিস্কার না হওয়ার মধ্যেই এমন ঘটনা মানুষের মনে নতুন করে আশঙ্কা এনেছে। তবে এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়েই আগামীতে যাতে মানুষ আর এমন বিপদের না পড়ে, সেই জন্য হুয়ের কর্তার এই বাণী প্রতি দেশেরই বিবেচনা করে দেখা উচিত বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!