এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিশ্বাসঘাতক মমতা! পর্দা ফাঁস করলেন দিলীপ

বিশ্বাসঘাতক মমতা! পর্দা ফাঁস করলেন দিলীপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন, তখন তাদের প্রত্যেককেই “বিশ্বাসঘাতক” বলে কটাক্ষ করতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতার তলায় থেকে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি করার পর তারা বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গেলেন‌। এরা বিশ্বাসঘাতক ছাড়া আর কেউ নন। কিন্তু তৃণমূল যখন এই অভিযোগ করতে শুরু করেছিল, তখন পাল্টা সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “বিশ্বাসঘাতক” বলে সরব হয়েছিলেন মুকুল রায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী।প্রত্যেকের গলাতেই ছিল একসময় বিজেপির হাত ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করলেও, সেই বিজেপি তিনি ছেড়ে এসেছেন।

ফলে তিনিও এক প্রকারের বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযোগ করেছিলেন মুকুলবাবু থেকে শুরু করে শুভেন্দুবাবু। তবে তারা এই ধরনের দাবি করলেও, পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল যুক্তি। শাসকদলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ত্যাগ করে আসলেও নতুন কোনো দলের হাত ধরেননি। বরঞ্চ তিনি নিজে দল গঠন করে সেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফলে তিনি বিশ্বাসঘাতক নন। কিন্তু এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে “বিশ্বাসঘাতক” বলে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

জানা গেছে, এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপির সভা থেকে এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা দল ভাঙছি! আর আপনি যেদিন সিপিএমের লোকেদের জোর করে দলে শামিল করেছিলেন! কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বেড়িয়ে এসেছিলেন।” অর্থাৎ নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিশ্বাসঘাতক বলা হলেও, তাদের হয়েই যেন ব্যাটিং করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। ফলে তিনিও সে দিক থেকে দেখতে গেলে এক প্রকারের বিশ্বাসঘাতক। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে তৃণমূলত্যাগী নেতাদের যখন ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে “গদ্দার” বলে আক্রমণ করা হচ্ছে, তখন দিলীপ ঘোষের এই ধরনের মন্তব্য শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে যে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদল একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের আগে যত সময় যাচ্ছে, ততই একদল থেকে অন্য দলে আসা নেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন বিজেপিতে যোগদান হচ্ছে, তখন তাদের “বিশ্বাসঘাতক” এবং “মীরজাফর” বলে আক্রমণ করা হচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে আসা নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে নাম না করে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই “বিশ্বাসঘাতক” বলে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক লড়াই আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!