এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > বিশ্বে নিজেদের তৈরি টিকা পৌঁছে দিতে ইচ্ছুক চিন, হু-র সঙ্গে আলোচনা

বিশ্বে নিজেদের তৈরি টিকা পৌঁছে দিতে ইচ্ছুক চিন, হু-র সঙ্গে আলোচনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সেই মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের দাপট। এখনও পর্যন্ত সেই দাপট সমান পরিমাণে চলছে। অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, থেকে এই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে। যা ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই করোনা ভাইরাসকে আটকানোর জন্য নানা প্রতিষেধক আবিষ্কার করার চেষ্টা হলেও, এখনও পর্যন্ত তা সফলতা পায়নি।

কিন্তু এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর ভ্যাকসিন গণবণ্টন প্রকল্প কোভ্যাক্সের অধীনে সারাবিশ্বে নিজেদের তৈরি টিকা পৌঁছে দিতে ইচ্ছুক চিন। জানা গেছে, এই ভ্যাকসিন বিশ্বের অন্যান্য দেশে পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে আলোচনা চালাচ্ছে বেজিং। বস্তুত, বর্তমানে তিন রকমের করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চীনে হচ্ছে। মূলত যে কোনো বয়সের মানুষের শরীরেই এই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, চীনের প্রথম সারির ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বেজিংয়ের 10 হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই এই টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, চিন চিন কোম্পানির টিকা প্রস্তুত করে ফেলেছেন। আর এর মাঝেই ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য প্রাথমিকভাবে চীনের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদি ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আলোচনার ভিত্তিতে অন্যান্য দেশে বন্টন করা শুরু করে, তাহলে প্রতিটি দেশ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, কিছুদিন আগেই চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নভেম্বরে 3 ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির টিকা চলে আসতে পারে। তবে তার আগে এই টিকা দেওয়া নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। লাইসেন্স ছাড়া কিভাবে এই টিকা বিতরণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে কোনো মহামারী সময় জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আনা যেতেই পারে। কিন্তু কেবলমাত্র হাই রিস্ক গ্রুপের সদস্যদেরই সেই টিকা দেওয়া হয়। তবে চীন যেভাবে ট্রায়ালের রিপোর্ট ছাড়াই টিকার প্রয়োগ করতে শুরু করেছে, তাতে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। আর এই পরিস্থিতিতে চীনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে তা সকল দেশের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেল।

তবে সমস্ত কিছুর চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার আগেই কেন এই আলোচনা হল, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে কবে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত রিপোর্ট আসে এবং করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন যদি কার্যকরী হয়, তাহলে তা কবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে পৌঁছে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!