এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিতর্কের মাঝে ছুটির দিনেও নবান্নে আলাপন, সোমবার নিতে পারেন বড় সিদ্ধান্ত!

বিতর্কের মাঝে ছুটির দিনেও নবান্নে আলাপন, সোমবার নিতে পারেন বড় সিদ্ধান্ত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তাকে নিয়েই এখন সবথেকে বেশি চর্চিত রাজনৈতিক মহল। কেন্দ্র এবং রাজ্যের সঙ্ঘাত তৈরি হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই। সম্প্রতি মুখ্যসচিব হিসেবে অবসর নেওয়ার কথা ছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তার মেয়াদ যাতে বাড়ানো হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মত করে কেন্দ্র সেই আবেদনে সায় দিয়েছিল বলে খবর। কিন্তু শুক্রবার দুর্যোগ-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবের। তবে সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। উল্টে প্রধানমন্ত্রী যখন রাজ্যপাল সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কলাইকুন্ডাতে বৈঠক করছিলেন, তখন সেখানে কিছুক্ষণের জন্য সময় চেয়ে নিয়ে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে দিয়ে সেই বৈঠকস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই আশ্চর্যজনকভাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ দিয়ে দিল্লিতে তলব করে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এরপরই রাজ্যের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, যেখানে আগেভাগেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, সেখানে কেন কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিল! গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রীতিমত ক্ষোভ উপরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে সোমবার নিজের কর্ম জীবনের শেষের দিন কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নাকি বিদ্রোহ ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেই রাজ্যের বৈঠকে থাকবেন তিনি, এখন এটা নিয়েই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রবিবার ছুটির দিনে নবান্নে সস্ত্রীক উপস্থিত থাকতে দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।

সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে নবান্নে আসেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন তার সহধর্মিণী তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী। স্বাভাবিক ভাবেই তাকে নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হয়েছে, তখন এভাবে নবান্নে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি করল। রবিবার এমনিতেই ছুটির দিন। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার তার কর্মজীবনের শেষের দিন। সেক্ষেত্রে শেষের সময় তিনি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন, নাকি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন যেটা মাস্টারস্ট্রোক, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রের আবেদনে সাড়া দেবেন না মুখ্যসচিব। আবার অনেকে বলছেন, কেন্দ্র যখন এইরকম নোটিশ পাঠিয়েছে, তখন মুখ্যসচিব বড় কোনো জবাব দিয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে কেন্দ্রকে আরও চাপে ফেলে দিতে পারেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে কর্মজীবনের শেষের আগের দিন ছুটির দিনেও নিজের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তলব করার পর থেকেই তৃণমূলের একাংশ সোচ্চার হতে শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে বিমাতৃসুলভ বলে দাবি করেছেন, ঠিক তেমনই তৃণমূলের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তুলতে শুরু করেছেন, এভাবে বাংলার মেরুদন্ডকে কাবু করা যাবে না। এক্ষেত্রে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রের মুখে ঝামা ঘষে দিতে পারেন বলেও দাবি করতে শুরু করেছে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহল।

আর এই পরিস্থিতিতে সোমবার যে সিদ্ধান্তই নিন রাজ্যের মুখ্যসচিব, তা কার্যত নজির হয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তার আগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সস্ত্রীক এলেন নিজের কর্মস্থলে। একাংশ বলছেন, চাকরি জীবনের শেষের দিকে এতটা বিতর্কের মুখে তাকে পড়তে হবে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি প্রবীণ অভিজ্ঞ এই প্রশাসনিক কর্তা।

তাই শেষ মুহূর্তে অবসর জীবনের শেষের দিন আসার আগে ছুটির দিনেও নিজের অফিসে এই সময় কাটাতে দেখা গেল তাকে। তাহলে কি সস্ত্রীক ছুটির দিনে নবান্নে এসে সোমবারের সিদ্ধান্ত আগেভাগেই নিয়ে রাখলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়! জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যজুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!