এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিতর্কের মাঝেই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ালেন মমতা! জেনে নিন

বিতর্কের মাঝেই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ালেন মমতা! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাম্প্রতিক কালে শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আর এবার সেই বিতর্কের মুহূর্তে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সেই চিঠিতে বিজেপির কোনো নাম না নিলেও তিনি ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এর পেছনে গেরুয়া রাজনীতি জড়িত।

বস্তুত, নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমির একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বলে অভিযোগ করেছিল বিশ্বভারতীর একটি পক্ষ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছেও সেই অভিযোগ পত্র এসে পৌঁছেছিল। আর তা নিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এবার সরাসরি এই ব্যাপারে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে চিঠি লিখলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

সূত্রের খবর, এদিন চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “শান্তিনিকেতনের সঙ্গে আপনার পরিবারের গভীর যোগসুত্র সকলেই জানেন। আট দশক আগে শান্তিনিকেতনে প্রতীচী বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন আপনার বাবা আশুতোষ সেন। এখন আপনার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ভিত্তিহীন ও বিস্ময়কর অভিযোগ করছে বিশ্বভারতীর অধুনা কিছু বহিরাগত। এটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ গোঁড়ামির বিরুদ্ধে আপনি লড়াই করেছেন। আর তা করতে গিয়ে অপশক্তিগুলোর শত্রু হয়ে উঠেছেন আপনি। এই লড়াইয়ে আমি আপনার পাশে। অসহিষ্ণুতা এবং একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আপনার বোন ও বন্ধু হিসেবে পাশে আছি। ওদের মিথ্যা অভিযোগ ও অসত্য আক্রমণে দমবেন না। আমরা জয় করবই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চিঠিতেই কার্যত পরিষ্কার যে, তিনি এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তবে চিঠিতে গেরুয়া শিবিরের নাম না নিলেও, তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, তিনি এক্ষেত্রে পদ্ম শিবিরের একাংশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করে দেওয়ার একটা চেষ্টা হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই গোটা ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে অভিযোগ পত্র আসতে না আসতেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেনকে নিয়ে বাংলার মানুষ গর্ব করেন। আপনারা বিশ্বাস করেন, অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতনের জমি দখল করবেন! ওনার পরিবার 70-80 বছর ধরে ওখানে রয়েছে। যারা বলছেন, তারা বাংলাকে কতটা চেনেন! এটা বাংলার মানুষ সহ্য করবে না. আমি অমর্ত্য সেনের কাছে ক্ষমা চাইছি।”

আর সেই সময় থেকেই অনেকে মনে করেছিলেন, এবার এই ইস্যুতে হয়ত বা সোচ্চার হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যাশা মতই এবার এই ব্যাপারে অমর্ত্য সেনকে চিঠি লিখে তার পাশে দাঁড়ালেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। তবে এক্ষেত্রে কোনো পক্ষের নাম না নিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চিঠি যে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!