প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেছেন তিনি। কিন্তু তারপর বিজেপি ত্যাগ করে তিনি যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এদিকে তৃণমূলে যোগদান করার সাথে সাথেই তার বিধায়ক পদ খারিজ করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অধ্যক্ষের কাছে বারবার দরবার করেছে তারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ব্যাপারে বিধানসভার অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার কি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে চলেছেন বর্তমান তৃণমূল নেতা তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়? ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার জন্য রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুকুল রায়। একাংশ বলছেন, যেভাবে বিজেপি মুকুল রায়কে চেপে ধরেছে, তাতে আগামী দিনে জটিলতা আরও বাড়তে পারে। তাই বিতর্ক ভয়াবহ আকার নেওয়ার আগেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে এই জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন তিনি। তবে মুকুল রায় যদি বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন, তাহলে তাকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন দেওয়া হতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞ মুকুলবাবুকে রাজ্যসভায় ফাঁকা হওয়া আসনে সাংসদ করে পাঠাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দলত্যাগ বিরোধী আইনকে কার্যকর করবার জন্য এবং মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করতে এখন রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেদিক থেকে আগামী দিনে এই গোটা বিষয়ে ব্যাপক চাপে পড়ে যেতে পারেন মুকুল রায়। তাই এখন থেকেই নিজের মান বাঁচাতে অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয়ে তিনি সরাসরি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে গোটা বিষয়টি এখনও পর্যন্ত জল্পনার পর্যায়েই রয়েছে। এই ব্যাপারে মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সম্ভবনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জল্পনায় সীলমোহর দিয়ে আগামী দিনে মুকুল রায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যান কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।