এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বিয়ে করার অদম্য নেশায় নামে-বেনামে এক ডজন বৌ জোটালেন পান ব্যবসায়ী! হতবাক পুলিশ থেকে প্রশাসন

বিয়ে করার অদম্য নেশায় নামে-বেনামে এক ডজন বৌ জোটালেন পান ব্যবসায়ী! হতবাক পুলিশ থেকে প্রশাসন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিয়ে প্রতিটা মানুষের জীবনের একটি কাঙ্ক্ষিত ঘটনা। প্রতিটা মানুষের মনেই বিয়ে নিয়ে কম বেশি চিন্তা থাকে। একেবারে বিয়ে নিয়ে চিন্তা করেননি বা করেননা এমন মানুষ হয়ত খুবই কম। তবে তা বলে এক ডজন বিয়ের কথা ভাবার মত সাহস কার আছে? এখন লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে শোনা যাবে হয়ত নেড়া একবারই বেলতলায় যায়! তবে এর ব্যতিক্রমও যে আছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল হাতেনাতে।

ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের উত্তরের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায়। সেখানকার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা আবুল হাসেম ভেন্ডার নাকি এক ডজন বিয়ে করেছেন। শুধু তাই নয়, পেশায় পান ব্যবসায়ী এই লোকটি নাকি ১২ জন মহিলাকে আইনত ভাবে বিয়ে করেছেন। কিন্তু আরও অনেকেই রয়েছে, যাঁদের পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করেছেন তিনি। শুধু বিয়ে করাই নয়, বিয়ের পর তাঁদের প্রত্যেককে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এই বছর পঞ্চান্নর বাংলাদেশি প্রৌঢ়ের ওপর। যার কার্যকলাপ দেখে হতবাক পুলিশ থেকে শুরু করে সবাই।

স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ অভিযোগ পান যে, হাসেম নামে ওই ব্যক্তি নাকি একজন মাদক ব্যবসায়ী ও অসৎ প্রকৃতির মানুষ। তার একটি পানের দোকান ছিল। কিন্তু বর্তমানে এখন তিনি নাকি স্ট্যাম্প ব্যবসায়ী। প্রথম স্ত্রীর বিয়ের পর তার বাবার মৃত্যু হলে সুকৌশলে তাঁর সমস্ত জায়গা, জমি সব তিনি নিজের নামে লিখিয়ে নেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর আরও এক স্ত্রীর কথায় ‌‌আবুল হাসেম একজন ভয়ংকর প্রকৃতির লোক। সে তাঁর স্ত্রীকে মারার জন্য অনেক কৌশল করেছেন। শুধু তাই নয়, তার মা-ভাই-বোনদের পথে বসিয়েছেন। পরে যখনই তিনি প্রতিবাদ করতে গেছেন তখনই তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে। তাঁর আরেক স্ত্রীও অভিযোগ করেন যে তিনি ভরণ-পোষণ ঠিক মতো দিতেন না। এদের মধ্যেই একজন পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেন।

এরপর পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে বোঝেন যে বিয়ে করা এখন তার নেশা। পঞ্চগড় জেলার ময়দান দিঘি, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া, আখানগর, জগন্নাথপুর বাহাদুর পাড়া, মাদ্রাসাপাড়া, আদর্শ বাজার কলোনি পাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় সে মোট ১২টি বিয়ে করেছে।

এছাড়া পরিচয় গোপন করেও অনেক স্ত্রীকে রেখে দিয়েছেন তিনি। তবে ওই ব্যক্তির এবিষয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বলেই জানা গেছে। তবে পুলিশ অভিযোগটিকে আপাতত পারিবারিক আদালতে নিয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!