এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘দিদিকে বলো’-এর সব আলো কেড়ে নিতে এবার গেরুয়া শিবিরের ‘মাস্টারস্ট্রোক’? জানুন বিস্তারিত

‘দিদিকে বলো’-এর সব আলো কেড়ে নিতে এবার গেরুয়া শিবিরের ‘মাস্টারস্ট্রোক’? জানুন বিস্তারিত


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল ৪২-এ-৪২ – কিন্তু, তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। উল্টে, রাজ্য-রাজনীতিতে ‘সুপারহিট’ গেরুয়া শিবিরের – ‘উনিশে হাফ, একুশে সাফ’-এর স্লোগান! আর এরপরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বাংলায় হারানো জমি ফিরে পেতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে।

আর, তারপরেই বাংলায় তৃণমূলের জমি ধরে রাখতে আসরে নেমে পড়েছে টীম-পিকে। রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সক্রিয়তা প্রমানে রাজ্যজুড়ে একের পর এক কর্মসূচি চলছে – যা নাকি সবটাই প্রশান্ত কিশোরের মস্তিস্ক প্রসূত। আর এইসব কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম হল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। বাস্তবে এই কর্মসূচির ফলে তৃণমূল কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তা বোঝা যাবে আগামী নির্বাচনে – কিন্তু, তৃণমূল নেতাদের দাবি এই কর্মসূচি নাকি সাধারণ মানুষের মধ্যে ন্যাপক সাড়া ফেলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, ‘দিদিকে বলো’ হিট হোক বা ফ্লপ – হাত গুটিয়ে আর বসে থাকতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সব ‘লাইমলাইট’ কেড়ে নিতে এবার পাল্টা আসরে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। বঙ্গ-বিজেপির সরকারি সোশ্যাল মিডিয়া পেজে আজ এক ভিডিও প্রকাশ করে জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই ‘চা চক্রে দিলীপদা’ নামে এক কর্মসূচি সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। যে কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গ-বিজেপির রাজ্য সভাপতি চায়ের আসরে বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন, শুনবেন তাঁদের সুখ-দুঃখের বা অভাব-অভিযোগের কথা।

আর তারপর, পরিস্থিতি অনুযায়ী সেইসব সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায় তা দেখবে গেরুয়া শিবির। এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হত – বিজেপির রাজনীতি শুধুমাত্র ধর্মের নামে, উন্নয়নের কাজ একমাত্র তারাই করতে পারে। কিন্তু, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলই পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরের। আর ক্ষমতায় এলে, উন্নয়নের ‘প্রকৃত কাজ’ যে তারাই করবে – সেই বার্তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে চাইছেন বিজেপি নেতারা।

ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারী বা শিক্ষকদের বার্তা দিয়ে গেরুয়া শিবিরের নেতারা জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকেই তাঁদের পাওনা-গন্ডা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর এবার আরও সদর্থক বার্তা দিতে, বাংলার মানুষের অভাব-অভিযোগ এখন থেকেই জানার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে – রাজ্য বিজেপির এই পদক্ষেপ এককথায় ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হতে চলেছে। সবমিলিয়ে, বিজেপির নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা হতেই, রীতিমত আলোচনা শুরু হয়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!