এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপিকে আটকানো দূরের কথা, দৌড় থেমে যেতে পারে ২০-এর নীচে! সামনে এল বিস্ফোরক ভিডিও!

বিজেপিকে আটকানো দূরের কথা, দৌড় থেমে যেতে পারে ২০-এর নীচে! সামনে এল বিস্ফোরক ভিডিও!


গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ছিল বহুদিন ধরেই। এবার তার রহস্য প্রকাশ্যে এলো।কথা হচ্ছে হরিয়ানা কংগ্রেস দল নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে এবার কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব জনতার সামনে প্রকাশ্যে এল। হরিয়ানায় কংগ্রেস দলের পরিস্থিতি নিয়ে দলের তিন নেতার কথোপকথনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এই ভাইরাল ভিডিও। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই হরিয়ানা কংগ্রেস দলের মধ্যে লেগে গেছে দ্বন্দ্ব। কংগ্রেসের মধ্যে থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে হাজার একটা। ভিডিওটির মূল বক্তব্য, হরিয়ানায় কংগ্রেস কটি আসন পেতে চলেছে এবারের বিধানসভায়। শুনলে অবাক হতে হয়, হরিয়ানা কংগ্রেসের দৌড় থেমে যেতে পারে কুড়ির নিচে বলে ভিডিওটি থেকে জানা গেছে।

প্রথম থেকেই কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল হরিয়ানাতে টিকিট বিলি নিয়ে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা কে কটাক্ষ করে সোনিয়া গান্ধীর কাছের লোক বলে পরিচিত আহমেদ প্যাটেল প্রশ্ন তুললেন, কংগ্রেস দলের এই অবনমনের কারণ কি? দলের হাল আজ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে?

যে ভিডিওটির সূত্র ধরেই এত বিতর্ক, সেটি সম্ভবত পার্লামেন্ট হাউস কমপ্লেক্সে তোলা হয়েছে। যেখানে কংগ্রেসের তিন নেতা – যাদের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানার বর্ষিয়ান নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা, আহমেদ প্যাটেল এবং গুলাম নবি আজাদ। তিন নেতার মধ‍্যে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের রথ কোথায় থেমে যেতে পারে সে নিয়ে আলোচনা চলছে। হরিয়ানা বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা 90। কংগ্রেস ধরে নিয়েছে 90 এর মধ্যে তারা 14 তেই থেমে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ভিডিওটিতে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল কে রীতিমত আফসোস করতে দেখা গেছে হরিয়ানায় কংগ্রেসের অবস্থান দেখে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঘটনার পর এদিন তুমুল বিতর্ক শুরু হয় হরিয়ানার কংগ্রেস দলে। যার পরে এই ভিডিওটি প্রসঙ্গে ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামে কংগ্রেস দল। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে সামনে আসতেই কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যার ফলে, বুধবার দিন তিনটার সময় সদর দপ্তরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। যার জের এগিয়ে চলে সোনিয়া গান্ধীর বাড়ি পর্যন্ত। হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অশোক তানোয়ার এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি বলেছেন, সোহনা বিধানসভায় কেন্দ্রের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকায়।

যদিও এর আগে হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান অভিযোগ করেছিলেন, টিকিট বিলি নিয়ে। তাঁর মতে যাঁরা দলবিরুদ্ধ কাজ করেছেন, তাঁদেরকে কংগ্রেসের তরফ থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আর যাঁরা দলের ভালো চায়, তাঁরা এই টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার দিকে। শুধুমাত্র এটা কংগ্রেস নেতার বক্তব্য নয়, এটা কংগ্রেস শিবিরের কর্মীদেরও একই বক্তব্য। তাঁরা বলেন, খেটেখাওয়া কর্মীরা কোনরকম মূল্য পায়নি কংগ্রেস দল থেকে। বরং যারা দলকে বিপাকে ফেলবে এবং যাঁরা আরামদায়ক জীবন যাপন করেন, তাঁদের হাতেই টিকিট ধরানো হয়েছে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে আদপে সুবিধা হবে বিজেপি দলের। দলের মধ‍্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকলে কোনমতেই সেইদল সাংগঠনিক দিক থেকে পোক্ত নয়, বলাই যায়। সেদিক থেকে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে। অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব কে সমূলে বিনাশ করে। আপাতত হরিয়ানা ভোটের দিকেই নজর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!