প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন বাংলার উপর ক্রমশ জোর দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে সাতদিন ব্যাপী বাংলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। যেখানে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কি কৌশল প্রয়োগ করে জয় আসবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম পর্বে উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ এবং দলীয় সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে।

আর সেই বৈঠকেই কিভাবে লড়াই করতে হবে এবং তৃণমূলের মোকাবিলা করতে হবে, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বলা বাহুল্য, বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়, তাদের জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে তাদের পুলিশ এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও সরব হতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু এবার তৃণমূলের এই পদ্ধতির মোকাবিলা করার পথ বাতলে দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য নেতৃত্বকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, উত্তরবঙ্গে এবার শাসক দলের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে জঙ্গি আন্দোলনের পথে হেটে তৈরি করতে হবে কৌশল। এমনকি কোনো অবস্থাতেই চুপ করে বসে থাকা যাবে না বলেও উত্তরবঙ্গের নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন শুধুমাত্র তৃণমূলের হুমকির কাছে মাথা নত করলে যে হবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি নেতৃত্বের এই বার্তা থেকে পরিষ্কার, 2021 তাদের কাছে হয় এসপার, নয় ওসপার। তাই আগামী দিনে যতই প্রতিবন্ধকতা আসুক, এবার জোরদার ভাবে ময়দানে নেমে লড়াই দিতে হবে বলে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই তাদের সংগঠন দুর্বল হতে শুরু করেছে।

তাই সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের বিপুল সংখ্যক বিধানসভা আসন নিজেদের দখলে রাখতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার ময়দানে নামার জন্য দলীয় নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হল। সব মিলিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বাংলার নেতাদের এই বার্তা দেওয়াতে কার্যত পরিষ্কার যে, বিজেপি এবার নাওয়া-খাওয়া ভুলে বাংলা দখলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তবে কেন্দ্রের নেতারা এই ব্যাপারে রাজ্যকে বার্তা দিলেও, এখন রাজ্য নেতৃত্ব তাদের কাজ কতটা সুচারুভাবে করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।