প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের ভাবমূর্তি ফেরাতে নানা উদ্যোগী ভূমিকা নিতে দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রশান্ত কিশোরকে দায়িত্ব দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নেওয়া সহ একাধিক জেলায় সাংগঠনিক রদবদল বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন অভিষেকবাবু। আর সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে “বাংলার যুবশক্তি” নামে নতুন একটি কর্মসূচি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

যেখানে যুবদের মুখ করে আগামী দিনে বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলের বিস্তার ঘটানোঈ এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে বিজেপিও বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে ময়দানে নেমে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে “বাংলার যুবশক্তি” সংগঠন তৈরি করে বড় সাফল্য পেলেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, প্রথমে ঠিক হয়েছিল এক মাসের মধ্যে এক লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করা হবে এই সংগঠনে।

কিন্তু মাত্র 13 দিনেই এক লক্ষের বেশি যুবক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার যুবশক্তিতে নাম লিখিয়েছেন বলে খবর। যা বিজেপিকে রীতিমতো চাপে ফেলে তৃণমূলের যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতির উদ্যোগ নজরকাড়া সাফল্য পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকে বলছেন, প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত এই কর্মসূচি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাত ধরে সূচনা করেছেন। যেখানে বাংলার যুবকদের কাজে লাগিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে এই অরাজনৈতিক সংগঠন বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু যেহেতু তৃণমূলের শীর্ষনেতা এই সংগঠন তৈরি করেছেন, ফলে এর মধ্যে যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি লুকিয়ে আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই সংগঠন প্রকাশ্যে আসার পরেই যেভাবে 13 দিনের মধ্যে এক লক্ষ যুবক সেখানে নাম নথিভুক্ত করলেন, তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাbjp-,abhishek banerjee,lokyopuranই এগিয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

পাশাপাশি বিজেপির পক্ষ থেকে “বাংলার যুবশক্তি” সংগঠনকে কিছুদিন আগেই কটাক্ষ করা হয়েছিল। জয়প্রকাশ মজুমদার এই সংগঠনকে কার্যত পাত্তা দিতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু এত যুবক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় গেরুয়া শিবির অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়ল বলে দাবি করছে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহল। এখন ভবিষ্যতে এই “বাংলার যুবশক্তি” তাদের সাফল্যের ধারাকে কতটা অব্যাহত রাখে, তার দিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।