এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বেজে গেল কি বিধানসভা নির্বাচনের দামামা, অমিত শাহের ঘোষণা ঘিরে জোর জল্পনা!

বেজে গেল কি বিধানসভা নির্বাচনের দামামা, অমিত শাহের ঘোষণা ঘিরে জোর জল্পনা!


করোনা ভয়াবহতার মধ্যে লকডাউনের কারণে সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রেখেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই লকডাউন শিথিলতার পথে এগোচ্ছে। আর এই অবস্থায় এবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি চাণক্য অমিত শাহ। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলেও, হঠাৎ করেই তার রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে নেমে যাওয়ার পেছনে তৈরি হচ্ছে জল্পনা।

সূত্রের খবর, এবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের জমি শক্ত করার জন্য আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রচারের কাজ শুরু করতে দলের কর্মী-সমর্থককে নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই তার ব্যাপারে বিহার বিজেপি নেতৃত্বকে নিজের বার্তাও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে আগামী 9 জুন বিহারের এক লক্ষ কর্মী-সমর্থককে নিয়ে তিনি সভা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় প্রাক্তন সভাপতি।

কিন্তু যেহেতু করোনা পরিস্থিতি রয়েছে, সেহেতু ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে এই সভা করা হবে বলে খবর। আর লকডাউন শিথিল হওয়ার সময়কালের মধ্যেই হঠাৎ করে বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যেভাবে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিতে শুরু করলেন অমিত শাহ, তাকে কেন্দ্র করে এবার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, তাহলে কি বিহারে এবার নীতীশ কুমারের সঙ্গ ত্যাগ করে পৃথকভাবে লড়বে ভারতীয় জনতা পার্টি? আর তাই কি দলের নেতাকর্মীদের নিজেদের মত করে জমি শক্ত করার নির্দেশ দিচ্ছেন অমিত শাহ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে বিহারের সেভাবে কোনো বিরোধী দল নেই। সরকার টিকিয়ে রাখতে গেলে নীতীশ কুমারকে অনেকটাই বিজেপির উপর ভরসা করে চলতে হবে।

সেদিক থেকে বিজেপি যদি এখানে একটু শক্তিশালী হয়, তাহলে তারা সরকার গঠন করতে অনেকটাই সমর্থ হবে। তাই সেই দিকটি রক্ষা করে নীতিশ কুমারের দলের ওপর ভরসা না করে, নিজেদের পায়ে এখানে দলকে মজবুত করতে চাইছেন অমিত শাহ। আর তাই এখন থেকেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষমতা দখলের জন্য দলকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিচ্ছেন তিনি।

অনেকে বলছেন, সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন হওয়ায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের 14 টি খারিফ ফসলের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যা কৃষকদের অনেকটাই খুশি করেছে। আর বিহার কৃষিপ্রধান রাজ্য হওয়ায় সেখানকার কৃষকদের মন জয় করতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

সব মিলিয়ে একদিকে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের মন জয়, আর অন্যদিকে নিজেদের দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবার বাড়তি নজর দিতে চলেছেন অমিত শাহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে শেষপর্যন্ত অমিত শাহের এই কৌশল কতটা সফলতা পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!