এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ৯২ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল বিজেপি, তোলপাঠ রাজনৈতিকমহলে

৯২ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল বিজেপি, তোলপাঠ রাজনৈতিকমহলে


ত্রিপুরার পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ৯২% আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে রেকর্ড গড়ল বিজেপি। ত্রিপুরার ক্ষমতায় এসে সিপিএমকে টেক্কা দিয়ে ফের গেরুয়া আবীরের বন্যা বইয়ে দিল বিজেপি। গেরুয়াশিবির প্রমাণ করে দিল তৃণমূল এবং বিজেপি আসলে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। কিছুদিন আগের কথা, এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার ৩৪% আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল বলে তা নিয়ে ভালোই তর্জন গর্জন করেছিল বিজেপি। এমনকী আইনি গেড়োয় বেঁধো ফেলেছিল পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। আর এখন ত্রিপুরাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৯২% আসনে জয় হাসিল করে বিরোধীরা নাকি প্রার্থী দেওয়ার লোক পায়নি। ঠিক একই কথা এ রাজ্যের শাসক দলও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ৩৪% আসন দখল করার পর বলেছিল। তখন বিজেপি গনতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে,সন্ত্রাসের রাজনীতি চলছে বাংলায়-এরকম শ্লোগান তুলে প্রতিবাদ আন্দোলন করেছিল। আর এখন ত্রিপুরার এরকম নিরঙ্কুশ জয়ের পর বিষ্ময়করভাবে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা। ত্রিপুরার রাজনৈতিকমহলের উথাল পাথাল অবস্থা এভাবে বিজেপির ৯২% আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় দেখে। এভাবে জয়কে গণতন্ত্রের লজ্জা বলেই ব্যাখ্যা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে এ রাজ্যের শাসকদল লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে আক্রমণ করার নয়া অস্ত্র পেয়ে গেল। তাঁরা তো ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যে,যারা এতোদিন গণতন্ত্রের বুলি আওড়াচ্ছিল তাঁদের হাতে এভাবে গণতন্ত্রের নিধন হল কীভাবে? কীকরে একটা রাজনৈতিক দল ৯২% আসনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়? বিজেপি কেন জবাব দিচ্ছে না তা নিয়ে সরব তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হল বিরোধী বামফ্রন্টের দিকেও। এটাকে ইস্যু করে রাজ্যের শাসকদল যে এবার তান্ডব করবে তার ভালোই আঁচ পাওয়া যাচ্ছে রাজনৈতিকমহলের সূত্র থেকে।

এদিকে,আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত উপনির্বাচন রয়েছে। গত মার্চে বিজেপি এবং আইপিএফটি ক্ষমতায় আসার পর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে দলবদলের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। বিরোধী দলের নেতারা ঝাঁক বেঁধে দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান। কেউ আবার পদত্যাগ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তিন জায়গা থেকেই পদত্যাগের বহর ওঠে পদাধিকারীদের। এর জেরে মোট তিন হাজার আসনে ভোট করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিরোধীরা অভিযোগে জানিয়েছেন,বিজেপিরা মর্জি খাটিয়ে বিরোধীদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছে। এমনকী বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতেও বাধা দিয়েছেন। এর জেরে এতো ব্যাপক পরিমান আসনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাঁরা। এমনটাই অভিযোগে জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির মুখপাত্র মৃণালকান্তি দেব। তাঁর বক্তব্য,বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। তাই মানুষ তাঁদের সঙ্গ দেয়নি। বিরোধীদের কোনো মজবুত সংগঠন নেই ত্রিপুরাতে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত,৩০ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে ৩৩৮৬টি আসনের মধ্যে ৩২০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৬১টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ১৮টি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে। তার মধ্যে সবমিলিয়ে ৩২৪৭টি আসন বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে। ফলে ৩০ সেপ্টেম্বর মাত্র ১৩২টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, সাতটি পঞ্চায়েত সমিতি আসনে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জিকে রাও।এরকম পরিস্থিতিতে বিজেপির শরিকদল আইপিএফটি ও সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উপনির্বাচন রদ করার আর্জি করেছে। এতে সম্মতি দিয়েছে বিরোধীরাও। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর যেরকম উত্তপ্ত অবস্থা তৈরি হয়েছিল,সেই একই পরিস্থিতির শিকার এবার ত্রিপুরা। পার্থক্য কেবল শাসকদলে। এই ইস্যু নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!