এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এখনও গঠিত হয় নি পঞ্চায়েত সমিতি, মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগে গেরুয়াদের ‘ধিক্কার মিছিল’

বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এখনও গঠিত হয় নি পঞ্চায়েত সমিতি, মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগে গেরুয়াদের ‘ধিক্কার মিছিল’


পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার কয়েকমাস কেটে গেলেও এখনো অধরা মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির পঞ্চায়তে সমিতি গঠনের কাজ। ঠিক ছিল,৩ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী কেশিয়াড়িতে পরিষেবা প্রদান সভা করবেন। তারপর ওইদিনই বিকালে প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। কিন্তু পরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের স্থান বদল করা হল।

পরবর্তী ধাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নেত্রী ৩ তারিখ কেশিয়াড়িতে সভা করবেন। তারপর ৪ ডিসেম্বর প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। কিন্তু প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে নয়,৪ তারিখ পুলিশ লাইনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সে সভার প্রস্তুতি হিসাবে কেশিয়াড়ির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। সভা এবং মিছিল করার পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে বড় বড় তোরণ। কেশিয়াড়ি কলেজের সম্মুখস্থ মাঠে পরিষেবা প্রদান সভামঞ্চ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে।

গতকাল তৃণমূল জেলা সভাপতি সহ অন্যান্য জেলার নেতারা মঞ্চ তৈরির কাজ সহ অন্যান্য প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে গেলেন। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সভা চত্বর। এইসব কাজ কর্ম নিয়েই ব্যস্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ স্থানীয় পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি সংক্রান্ত কর্মব্যবস্থায় প্রশাসন এড়িয়ে যাচ্ছে এলাকার পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের কাজ। এমনটাই অভিযোগ তুলে নেত্রীর সভার আগের দিন অর্থাৎ আজ কেশিয়াড়িতে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

এলাকায় নির্বাচনে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এখনো পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের কাজ শুরু হল না। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূল এটা করছে বলেই দাবী দলীয় জেলা সভাপতি সমিত দাস। অভিযোগে তিনি আরো জানান,তৃনমূল হয়তো ভেবেছে নানা প্রলোভন এবং ছলচাতুরি করে দলীয় সদস্যদের তৃণমূলে টেনে নেবে। কিন্তু শাসকদলের এ উদ্দেশ্য কোনোভাবেই সফল হবে না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

আর তৃণমূলের বিজেপির সংগঠন ভাঙার সেই পরিকল্পনা বিফল করতেই প্রতিবাদ মিছিল বার করেছে বিজেপি। অবিলম্বে পঞ্চায়েত সমিতির গঠনের দাবীকে সামনে রেখেই এই মিছিল পথে নামানো হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা এতোদিন পরও কেন পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করা গেল না সেজন্যে মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানাতেই বিজেপির এই মিছিল পথে নামল এদিন।

প্রসঙ্গত, কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হয়েছে তৃণমূল বিজেপির। বিজেপির ঝুলিতে এসেছে ১৩ টি আসন আর তৃণমূল পেয়েছে ১২ টি আসন। ১ টি আসনের জন্যে বিজেপির পাল্লা ভারী। আর এটাই বুকে কাঁটা হয়ে বিঁধেছে তৃণমূলের এমনটাই মনে করছে গেরুয়াশিবির। তৃণমূল যাতে বিজেপি সদস্যদের ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য আগের থেকেই বিজিত সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ খড়গপুরের সভায় বলেছিলেন, তৃণমূলের কারণে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী বিজেপি সদস্যদের ভিন রাজ্যে রাখতে হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টিকেই ‘দলের আভ্যন্তরীন ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করলেন জেলাসভাপতি। এবং বিজেপির সংগঠনে একতা আছে এমটাই বিশ্বাসের সঙ্গে বললেন তিনি। এখন পঞ্চায়েত সমিতির গঠন কার্য থমকে থাকার জন্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপির ধিক্কার মিছিল সফল হয় কিনা সেটাই দেখার। মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেন সেটাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!