এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ২০১৯ নিয়ে কোনো চিন্তায় নেই, বাংলার গেরুয়া সমর্থকদের আশ্বস্ত করে দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করলেন আরও বড় লক্ষ্যের কথা

২০১৯ নিয়ে কোনো চিন্তায় নেই, বাংলার গেরুয়া সমর্থকদের আশ্বস্ত করে দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করলেন আরও বড় লক্ষ্যের কথা

রাজ্যজুড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার চালাচ্ছে – আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা তাঁর দল বিজেপির উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না নরেন্দ্র মোদী -অন্যদিকে কংগ্রেসের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের পরবর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নেবে দেশের আঞ্চলিক দলগুলিই। আর তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে বাংলার মানুষ যদি ৪২ টার মধ্যে ৪২ টি আসনেই জয়ী করে – তাহলে হয়ত দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু এরই পাল্টা, গেরুয়া শিবিরের দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে বাংলার মানুষ নাকি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর তাই বাংলার মানুষ এখন পরিবর্তনের পরিবর্তন চাইছে – যা দিতে পারে একমাত্র বিজেপি। আর বাংলার মানুষ এই পরিবর্তনের সূচনা করবেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেই – যেখানে বিজেপি শুধুমাত্র বাংলা থেকেই ২২-২৩ টি আসনে জয়ী হবে। দুই দলের এই রাজনৈতিক তরজায় রীতিমত জমে উঠেছে যুদ্ধ। একদিকে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশকে ‘ফ্লপ-শো’ বলে কটাক্ষ করছে তো অপরদিকে তৃণমূল গেরুয়া শিবিরের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ছে – ভোটে জেতার মত সংগঠন কোথায়?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, গেরুয়া শিবির সংগঠন নয় – বরং বেশি ভরসা রাখছে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী মনোভাবাপন্ন মানুষের উপরেই। আর তাই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বাংলায় পাঁচ-পাঁচটি জনসভা করার কথা ছিল। গতকাল মালদাতে কার্যত জনজোয়ারে ভেসে তিনি প্রথম সভাটিও করেন। কিন্তু, এরপরেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে দিল্লি ফিরে যেতে হয়। ফলে, অমিত শাহের জনসভাগুলিকে সাফল্যমন্ডিত করতে গেরুয়া শিবিরের আপাতত ভরসা অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজ্য নেতারাই। আজ তেমনই এক জনসভায় ঝাড়গ্রামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির উপস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন – ২০১৯ নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন তাঁরা। বরং, তাঁদের লক্ষ্যে এখন থেকেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন।

দিলীপবাবু আজ ঝাড়গ্রামে বলেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন হল রাজ্যের সেমিফাইনাল যুদ্ধ – আর ফাইনাল হল ২০২১-এর বিধানসভা। ২০১৯-এ আমরা আমাদের টার্গেট পূরণ করব – আর, ২০২১-এ তৃণমূলকে রাজ্য থেকে উপড়ে ফেলব। ২০১৯-এ কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবেন মোদীজি, আর তার দু-বছর পরেই এ রাজ্যে অর্থাত্‍ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই যুদ্ধে প্রকৃত পরিবর্তন আসবে বাংলায় – বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলব আমরা, বাংলাতেও হবে বিজেপির সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!