মাথার উপর থাকছে না বিজেপির হাত, আরো বড় অস্বস্তিতে বিমল গুরুং জাতীয় রাজ্য March 18, 2018 শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে অবশেষে বিমল গুরুং এর বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বললেন, ”বিমল গুরুং এবং তাদের পার্টি (গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা) পাহাড়ে আমাদের জোট-সঙ্গী। তাদের সঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্রীক সমঝোতা আছে। যখন নির্বাচন আসে তখন আমরা বসে ঠিক করি, কখন কে কাকে সমর্থন করবে। এছাড়া তাদের পার্টির আদর্শ-কর্মপদ্ধতি আলাদা, আমাদেরও আলাদা। বাকি কোনও দায় আমাদের নেই।” দিলীপ বাবুর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিকমহলের অনুমান যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতেই বিজেপির এহেন পদক্ষেপ। এদিন সাংবাদিকরা গুরুং এর গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিজেপির অবস্থান কী হবে জিজ্ঞাসা করাতে দিলীপ বাবু স্পষ্টতই বললেন , ”গ্রেপ্তার হলে কীভাবে হবে, কোর্ট কী রায় দিচ্ছে . সেটাতো ভবিষ্যতের ব্যাপার। কোনও ঘটনা ঘটলে তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করব।” উল্লেখ্য মোর্চার কাঁধে ভর করেই পাহাড়ে লোকসভা নির্বাচন জিতেছিল বিজেপি। এরপর দার্জিলিঙে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে পাহাড়ে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা চালু হয় । রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে গুরুং-বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত হয় পুলিশ কর্মী। এরপর গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে রাজ্য। ‘তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার উদ্দেশ্যপ্রণদিত ভাবে দমনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে’ এই অভিযোগ তুলে বিমল গুরুংয়ের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আলাদতের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট গুরুংকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। গুরুং এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু আরো বললেন , ”দেখুন আদালতে মামলা চলে। পক্ষে-বিপক্ষের উকিলরা মতামত দেয়। আদালতের ব্যাপার, আদালতেই নিষ্পত্তি হবে। আদালত যে রায় দেবে তা মেনে নেওয়া উচিত। আমাদের রাজ্য সরকার বা (মুখ্যমন্ত্রী) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিকতা আছে .(তাঁরা যা করবেন) সবটাই ঠিক। তাই সিবিআই’য়ের কাজে সন্দেহ প্রকাশ করা, সুপ্রিম কোর্টের কাজে সন্দেহ প্রকাশ করা, কেবল নিজের পক্ষেরটাই ঠিক.। গণতন্ত্রে যে কাজ হচ্ছে তাকে মেনে নেওয়া উচিত। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তার সাজা পাওয়া উচিত্।” সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের দুই মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিঙ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বললেন , ”এক সময় এই রকম ধারণা ছিল, গুরুং সিকিমে লুকিয়ে আছেন। তাকে ধরতে পারছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আমি জানিনা দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কী কথা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কোর্টের রায় দুই রাজ্যকেই মেনে চলতে হবে। গুরুং সিকিমে আছেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।” রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি আর রাজ্য সরকারের রাজ্য পরিচালনার নীতির সার্বিক মূল্যায়ন করে দিলীপ বাবু এদিন আরো বললেন , ” এখন প্রাক্তণ আই পি এস অফিসার ভারতী ঘোষকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা হচ্ছে। উনি কোথায় আছে কেউ জানে না। একটা ব্যাপার এখানে হচ্ছে যে, যতদিন কেউ সরকারের সঙ্গে থাকবেন ততদিন থাকতে পারবেন। তারপর আর তাকে কেউ থাকতে দেবে না। এরকম ঘটনাই আমরা পশ্চিমবাংলায় দেখতে পাচ্ছি। বাকি ভবিষ্যত বলবে।” আপনার মতামত জানান -