এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নবীনে-প্রবীনে মেলবন্ধন ঘটিয়ে বিজেপিকে আটকাতে ‘মাস্টারস্ট্রোক’

দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নবীনে-প্রবীনে মেলবন্ধন ঘটিয়ে বিজেপিকে আটকাতে ‘মাস্টারস্ট্রোক’

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদহে দলীয় প্রচার কার্যে একই মঞ্চে দেখা গেলো দুই বিবদমান নেতা কমল নাথ এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। ভোপালে মাটিতে দাঁড়িয়ে এই অসাধ্য সাধনটি করালেন কেন্দ্রীয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি দিল্লির রামলীলা ময়দানে রাহুল গান্ধী আয়োজিত জন-আক্রোশ সমাবেশেও মান করে বসেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেস দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে দলীয় সভাপতি হওয়ার সম্ভবনা ছিলো তরুন তুর্কী নেতা তথা গোয়ালিয়রের রাজ পরিবারের সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কিন্তু ঐ রাজ্যের শাসক দল বিজেপি কে কোনঠাসা করতে অন্তিম সময়ে কমল নাথকে রাজ্য সভাপতি মনোনীত করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই ঘটনায় স্বভাবতই মন ক্ষুন্ন হয় রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত এবং প্রচার কমিটির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জ্যোতিরাদিত্যের। অবশেষে রাহুল গান্ধীর উদ্যোগে ভূপালে রোড-শো করলেন দুই নেতা। উল্লেখ্য প্রদেশ সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর এদিনই প্রথমবারের জন্যে কমল নাথ মধ্যপ্রদেশে গেলেন। রাহুল গান্ধী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে বিভিন্ন রাজ্যের দলীয় নেতাদের বিবাদ মেটাতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। দিল্লিতেও রাজ্য সভাপতি অজয় মাকেনের সঙ্গে শীলা দীক্ষিতের বিবাদকে মেটানোর চেষ্টা করেছেন। মাকেনকে দিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইয়েছেন। যে সব নেতা কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে চলে গিয়েছেন, তাঁদেরও ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছেন। দলীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুয়ারী জানা গেলো জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে মান ভাঙাতে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন বিজেপি-আরএসএসকে পরাস্ত করতে এখন একজোট হয়েই কাজ করতে হবে। আর এই কথাতেই কাজ হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!