এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির আয়ের প্রমাণ পত্রে কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে ধোঁয়াশা,অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

বিজেপির আয়ের প্রমাণ পত্রে কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে ধোঁয়াশা,অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির


সম্প্রতি বিজেপির অর্থকেন্দ্রিক স্বীকারোক্তি পত্রে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাক্ষর নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। চলতি সময়ে একের পর এক বির্তকে নাম জড়াচ্ছে পদ্মশিবিরের। কেন্দ্র তো বটেই,দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও আসছে গেরুয়াপার্টির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। এতো বিতর্ক এবং অভিযোগের জেরে লোকসভা ভোটের আগে ভীষণ নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে মোদীজি-অমিত শাহদের। কেন্দ্রীয় পদ্মশিবির হিসাব দিয়ে জানাচ্ছে যে, ২০১৬-১৭ সালে বিজেপির আয়ের পরিমান হিসাবে কোষাগারে রয়েছে ১০৩৪ কোটি টাকা। এবং এই সংক্রান্ত দলিল সামনে আসলে দেখা গেলো কোষাধ্যক্ষের সাক্ষরের সঙ্গে কোনো কোনো মিল নেই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সই এর  এমনটাই দাবি এক সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রের । ওই সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী  আর তাই নিয়েই তৈরী হয়েছে সংশয়।  প্রশ্ন উঠেছে সাক্ষর বিভ্রাট নিয়ে। এমনকি বিজেপির নিজস্ব সাইটে গিয়ে সন্ধান করলেও খোঁজ মেলেনি কোষাধ্যক্ষের। সেখানে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের নাম উল্লেখ থাকলেও কোষাধ্যক্ষের স্থানটি ফাঁকা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

সংবাদপত্রের আরো দাবি যে এই দেখেই চক্ষু চড়কগাছ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারদের। এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি । তিনি জানালেন কমিশনের কাছে পেশ করা বিজেপির অর্থসংক্রান্ত নথিতে গলদ রয়েছে। এই ধরনে অস্পষ্ট হলফনামা জমা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিৎ বিজেপিকে অবিলম্বে নোটিশ পাঠানো। কারণ আয়ের পরিমান সংক্রান্ত নথিতে কোষাধ্যক্ষের সাক্ষর থাকাটা একান্তই জরুরি। অন্য আর একজন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কর্তা আসফোস করে বলছেন যে ২০১৪ সালের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্টতই উল্লেখ আছে যে, আয়ের খতিয়ান দেখানোর দলিলে কোষাধ্যক্ষের সই অবশ্যই থাকতে হবে। সেখানে বিজেপি এধরনে অস্পষ্ট স্বীকারোক্তি পাওয়ার এতোদিন পর কেন নির্বাচন কমিশন সঠিক ব্যবস্থা নিল না, এ ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি এমনটাই দাবি ওই সংবাদপত্রের

 

কার্যত গেরুয়া পার্টি দেশের আর্থিক দিক থেকে ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দলগুলোর ভিতর একটি। কেন্দ্রের রাশ আপাতত তাঁদেরই হাতে। ক্ষমতার শীর্ষে এতো বড় দায়িত্বে থেকে, লোকসভা ভোটের আগে কীভাবে এধরনে আপত্তিকর অর্থসংক্রান্ত দলিল পেশ করল তাঁরা তা নিয়ে হতবাক নির্বাচন কমিশন সহ বিরোধীরাও। এসব বিতর্কের ফলে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির ভাবমূর্তিতে গভীর প্রভাব পড়বে বলেই দাবী রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশের।

 

যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!