জেতা পঞ্চায়েত ধরে রাখার পাশাপাশি ত্রিশঙ্কুও দখলের পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির রাজ্য July 26, 2018 রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকা এলাকাগুলিতে বোর্ড গঠনের উদ্দেশ্যে এক নজির বিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করলো গেরুয়া শিবির। চলতি সপ্তাহে আসানসোলে আয়োজিত বিজেপি দলের দু দিন ব্যাপী বৈঠকে মূলতঃ পঞ্চায়েত স্তরে বোর্ড গঠন নিয়েই আলোচনা হয়। উদ্দেশ্য একটাই এই বোর্ড গঠন পর্বে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে তাদের রাজনৈতিক সক্রিয়তা হাতে কলমে দেখানো। এই বৈঠকে স্থির হয়েছে, যেসব গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে, সেখানে নির্দল কিংবা সমভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বেশি সংখ্যক স্থানীয় পরিচালন সমিতির ক্ষমতা দখল করা। একই সাথে বিজেপি মনোনীত জয়ী যেসকল প্রার্থীর দল পরিবর্ত্নের ক্ষেত্রে একটা সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে তাঁদের সেই মনোভাব কার্যকর করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া । আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। অর্থাৎ একটু অন্যভাবে বললে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক প্রলোভন বা ভয় দেখানো হলে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা যাতে কোনো রকম আপোষ করেন সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই এই সিদ্ধান্ত। এই উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্যে এই বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ঝাড়গ্রাম-পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্ব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ২১ শে জুলাইয়ের শহীদ সভা মঞ্চে ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়ার বিভিন্ন স্তরে জয়ী ৫৬ জন বিজেপি প্রার্থী দল পরিবর্তন করে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এমত অবস্থায় রাজনৈতিক মহলের মনে সংশয় দেখা দিচ্ছে এত পরিকল্পনা কর্মসূচী কিন্তু এসব করেও গেরুয়া শিবির কী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা এবং কুশলী মনোভাবের কাছে টিকতে পারবে ! এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে এখন অল্প সময়ের অপেক্ষা। আপনার মতামত জানান -