এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > কৃষক সমাবেশে অন্দরের কোন্দল এবার চলে এল প্রকাশ্যে অস্বস্তিতে বিজেপি

কৃষক সমাবেশে অন্দরের কোন্দল এবার চলে এল প্রকাশ্যে অস্বস্তিতে বিজেপি


তখন পুরোদমে সভা চলছে, মাইক্রো ফোনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিনের কৃষক কল্যাণ সমাবেশে তাঁর বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ ঘটলো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা যার জন্যে কেউই হয়ত প্রস্তুত ছিলোনা। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল প্যান্ডেলের একাংশ। লোহার বিম, ত্রিপল আর সামিয়ানায় চাপা পড়ে গেলেন উপস্থিত দলীয় সমর্থকরা। এই ঘটনার পরে স্বভাবতই প্রশ্নের মুখোমুখি দলেরই দুই নেতা দিলীপ ঘোষ ও বাবুল সুপ্রিয়। এদিনের সভাকে কেন্দ্র করে অদৃশ্যরকম ভাবেই দলের মধ্যে বিভাজন দেখা দিলো।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

একে অন্যের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে এই দুর্ঘটনার দায় চাপাতেই ব্যস্ত। এদিনের সভা শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান । সেইসময়ে রাজ্য নেতৃত্ব মঞ্চে বসেই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। তখনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন বললেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভা, বহু জনসমাগাম হবে, তাই আরও নিরাপদ ব্যবস্থা করা দরকার ছিল।” জবাবে দিলীপ ঘোষ বললেন, “আপনারও আগে এসে দেখভাল করা উচিত ছিল।

আপনি কেন আগে এসে সমস্ত ব্যবস্থা দেখে গেলেন না। হওয়া তো অনেক কিছুই উচিত। ” যদিও এই আলোচনায় দুর্ঘটনার সমস্ত দায় নিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায় রীতিমতো আঁতে ঘা লাগায় , দিলীপ বাবু দলের জাতীয় সভাপতির পুরুলিয়া জেলা সফরের উদাহরণ টেনে বললেন , পুরুলিয়াতে এইরকম ব্যবস্থা করেই অমিত শাহের সভা হয়েছিল। তখন কোনও সমস্যা হয়নি।

এবার প্রবল বৃষ্টির কারণেই মাটি বসে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এইসময় বাবুল সুপ্রিয় রাজ্য নেতৃত্বর আরও সজাগ থাকার উচিত ছিলো জানালে স্বভাবতই অসন্তুষ্ট হয়ে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই দুর্ঘটনার পরে দলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পরিষ্কার ভাষায় জানানো হয়েছে , দলের পক্ষ থেকে খঁজ খবর নেওয়া হবে এদিনের আকষ্মিক বিপত্তির। কারও কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। একইসাথে দল আহতদের পাশে থাকছে। দিলীপ বাবু জানিয়েছেন আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়া হবে দলের পক্ষ থেকে। এছাড়াও যদি কিছু প্রয়োজন হয় দল সেই ব্যাপারে ও সাহায্য করবে।

দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল বিজেপির অন্দরে কোন্দলের কথা, কিন্তু কোনো সঠিক প্রমাণ ছিলনা। আর এদিন দুই হেভিওয়েট নেতার এই কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!