এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জীবজন্তু, জানোয়ার, পুঁটিমাছ বলে কটাক্ষ রাজ্যের মন্ত্রীর, বিতর্ক তুঙ্গে

BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জীবজন্তু, জানোয়ার, পুঁটিমাছ বলে কটাক্ষ রাজ্যের মন্ত্রীর, বিতর্ক তুঙ্গে

হিংসার রাজনীতি যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বাংলা জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপে পরিনত হয়েছে। লোকসভা ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততোই যেন সেই বারুদেই ধিকিধিকি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ প্রকাশ্যে আসছে। শাসক বনাম বিরোধীরা একে অপরের বিরুদ্ধে মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে রয়েছে। সুযোগ একটা পেলেই হয় তোপ দাগতে বিন্দু বিসর্গ চিন্তা করছেন না হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা। এমনকী বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হতে গিয়ে শালীনতাকেও জলাঞ্জলি দিতে এক মুহূর্ত ভাবছেন না তাঁরা। যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সবসময় চাঁচাছোলা ভাষায় তৃনমূলকে আক্রমণ করেন,তাকেই ফের একবার তৃনমূলের পাল্টা আক্রমণের শিকার হতে হল। আর এবার তিনি কোপের মুখে পড়লেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। প্রকাশ্য জনসভায় দিলীপ ঘোষকে জন্তু জানোয়ার তো বলেননি,এমনকি পুঁটিমাছ বলেও কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের এই প্রভাবশালী নেতা।

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের পুলিশের গুলিতে হওয়া ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ পালন করেছিল বিজেপি। ২৬ সেপ্টেম্বর সেই বনধে কেমন প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করতেই কোচবিহারে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে। সেখানেই ভাষণ রাখতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। বলেন,বিজেপির ডাকা বনধ সমর্থন করেনি সাধারণ মানুষ। তার প্রমাণ-বনধের দিন রীতিমতো দোকানপাট খোলা ছিল,স্বাভাবিকভাবে চলেছে যানবহনও। এরপর সরাসরি আক্রমণের অভিমুখ রাজ্য বিজেপি সভাপতির দিকে ঘুরিয়ে বলেন,”অনেক জীবজন্তু, জানোয়ার আছে যারা জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়ায়। দিলীপ ঘোষের অবস্থাও খানিকটা সেইরকম। ওনার পাশে একটা লোকও নেই।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরপর শালীনতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে দিলীপ ঘোষকে ‘পুঁটিমাছ’- এর সঙ্গে তুলনা করতেও পিছপা হলেন না উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। বললেন,”পুঁটিমাছকে যখন জল থেকে তোলা হয়, তখন প্রথমে দু’তিনবার লাফায়। তারপর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায়। দিলীপ ঘোষের অবস্থাও এখন তাই।” অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইলেন লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি যতোই তর্জন গর্জন করুক না কেন,তৃণমূল বিরোধী মিছিল,প্রতিবাদ ধর্মঘট করুক না কেন, লাভের লাভ হবে না কিছু্ই। এ রাজ্যের আবার ঝান্ডা উড়বে জোড়াফুলেরই। তবে উত্তরবঙ্গ উয়ন্ননমন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন যিনি,বিরোধীদের প্রতি আক্রমণে তাঁর মুখের ভাষা নিয়ে রীতিমতো বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বাঁধছে রাজ্য রাজনৈতিকমহলে। এ ব্যাপারে কোনো সাফাই দেননি নবান্ন কর্তারা। এমনকি রাজ্যবিজেপির তরফ থেকে এহেন বিতর্কিত মন্তব্যের পাল্টা জবাবও পাওয়া যায়নি এখনো। তবে এ ব্যাপারে দিলীপ ঘোষের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!