এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার হেভিওয়েটদের গেরুয়া শিবিরে আনতে বিশেষ উদ্যোগ রাহুল সিনহার, কি হল দিনের শেষে?

বাংলার হেভিওয়েটদের গেরুয়া শিবিরে আনতে বিশেষ উদ্যোগ রাহুল সিনহার, কি হল দিনের শেষে?

বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব দিয়ে মুখ পুড়লো রাহুল সিনহার। আগামী লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে একটা বড় সংখ্যক আসন নিজেদের ঝুলিতে পোড়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি আর সেই মতো নিজেদের দলে হেভিওয়েট অন্যদলের নেতা-নেত্রীদের পাশাপাশি এবার বিজেপির টার্গেট সমাজের বিশিষ্ট বাক্তিরাও। আর এদিন সেই উদ্দেশ্য সাধন করতেই জন-সম্পর্ক অভিযানে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রাহুল সিনহা প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা-র নিউটাউনের বাড়িতে যান ও মোদি সরকারের চার বছরের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য অরূপবাবুর হাতে তুলে দেন। এরপর একান্ত আলাপচরিতার মাঝে তাঁকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন রাহুলবাবু বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তাঁকে হতাশ করেই অরূপবাবু জানান যে এই মুহূর্তে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই। অরূপবাবু দাবি করেন যে, আমি কাউকে সমর্থনও করছি না আর রাজনীতিতেও যোগ দিচ্ছি না। আমি অরাজনৈতিক সংগঠন থেকে এসেছি তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত রয়েছে। আমি যেহেতু দেশের প্রধান সেনাপতি ছিলাম তাই আমার দেশের রাজনীতি, শিক্ষা ও সেনা সম্পর্কে একটা অভিমত আছে। পাশাপাশি রাহুলবাবুর সাথে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, দেশ কীভাবে চলছে, রাজ্য কীভাবে চলছে তা রাহুলবাবুর থেকে আজ শুনলাম। সেই সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হল।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

বিজেপির যদিও দাবি যে তারা আসন জিততে চাইছে ঠিকই কিন্তু তার থেকো বড় কথা হলো তারা মানুষের কাছে সমাজের যাঁরা বিশিষ্ট ব্যাক্তি তাঁদের কাছে পৌঁছাতে চাইছেন, মোদী সরকারের চার বছরের কর্মকাণ্ড তুলে দিয়ে তাঁদের গুরুত্ত্বপূর্ণ মতামত নিয়ে আগামীদিনে আরও উন্নত সরকার ও দেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা জানান, দেশের এয়ারফোর্সের জন্যই দেশের সুরক্ষা অটুট আছে। এর জন্য আমরা গর্বিত। আর তাছাড়া অরূপবাবু একজন বাঙালি যা আমাদের কাছে আরো বড় গর্বের কারণ। দেশের উন্নতির পাশাপাশি বাংলার উন্নতিও চান উনি। সেই কারণেই ওনার সঙ্গে দেখা করে, আশীর্বাদ নিয়ে এই অভিযানের শুরু করছি। পাশাপাশি তিনি আরো জানান যে, উনি ৪৫ বছর বাংলার বাইরে থাকলেও বাংলা সম্পর্কে তাঁর ধারণা রয়েছে। পাশাপাশি উনি উনি বাংলার শুভচিন্তক। আর সবথেকে বড় কথা উনি কোনোও রাজনৈতিক দলের লোক নন। তবে বিজেপির এই কর্মসূচি প্রথমেই এভাবে ধাক্কা খাওয়াও স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিরোধী শিবির। কিন্তু দমে যেতে রাজি নয় বিজেপি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতার মতে, তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তিনি ‘না’ বলেছেন। বলতেই পারেন এটা মানুষের ব্যাক্তি স্বাধীনতা। তৃণমূলের মতো ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাস করে বিজেপি মানুষকে দলে জোর করে যোগদান করায় না – এটাই তার প্রমান। আর অরূপবাবু বিজেপিতে না এলেও তাঁর সাথে কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই বিজেপির। তিনি যদি ইচ্ছা করেন যখন খুশি বিজেপিতে আসতে পারেন অন্যদলে গেলেও তাঁর সাথে বিজেপির সম্পর্ক খারাপ হবে না। আর তাছাড়া তাঁর গুরুত্ত্বপূর্ণ মতামতের সম্মান সর্বদা বিজেপির তরফ থেকে করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!