এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরভোটের আগে হটাৎ বিজেপির গোপন বৈঠক, জোর জল্পনা শুরু রাজ্যে !

পুরভোটের আগে হটাৎ বিজেপির গোপন বৈঠক, জোর জল্পনা শুরু রাজ্যে !

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে কিছুটা সাফল্য পাওয়ার পর থেকেই দলীয় স্তরে দ্বন্দ্বের লক্ষন চোখে পড়েছে। কিছুটা ভাল ফলাফল করে বিজেপির অনেক নেতার মধ্যে আশা তৈরি হতে শুরু করেছিল, দল ক্ষমতায় আসলে তারাই যাতে শীর্ষে থাকে। তার জন্য পদ পাওয়ার প্রবল চেষ্টা শুরু হয়েছিল নেতাদের মধ্যে। এমনকি তৃণমূল সহ অন্যান্য দল থেকে অনেক নেতৃত্বরা বিজেপিতে আশায়, নতুন বনাম বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে পদ পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল দ্বন্দ্ব। আর এবার সেই দ্বন্দ্বই হয়ত বা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে চলেছে।

বস্তুত, গত 2 তারিখে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কমিটি গঠিত হয়। যে কমিটিতে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, নতুন এই কমিটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন বিজেপি কর্মীদের রাখা হয়েছে। পুরনোদের সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আর এতেই পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়তে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হতেও দেখা যায় একাংশকে। আর এবার গুরুত্ব না পাওয়া বিজেপির আদি নেতাকর্মীরা নতুন কমিটিকে চাপে রাখতে গোপন ডেরায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর।

যা নিয়ে এখন দলীয় স্তরে চলছে গুঞ্জন। পুরোনো নেতাকর্মীরা যদি এই কমিটির বিরুদ্ধে সরব হয়ে গোপন বৈঠক করেন এবং সেই বৈঠকে যদি তারা দলের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে বিজেপি অনেকটাই বিপাকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। জানা গেছে, এই বৈঠকে বিধানসভার প্রায় শতাধিক পুরোনো বিজেপি কর্মী হাজির থাকবেন। ইতিমধ্যেই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা তার তালিকা করতেও শুরু করেছেন বলে খবর। আর এই সমস্ত খবর রীতিমত চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই বৈঠকের প্রসঙ্গে বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “কোথায় ওই বৈঠক হচ্ছে, একথা নতুন কমিটির সদস্যরা জানতে পারলে অনেক নেতাকর্মীকে বৈঠকে যেতে বাধা দেবে। সেই কারণে কবে ওই বৈঠক হচ্ছে এবং কোথায় তা হবে, তা আপাতত গোপন রাখা হয়েছে।” এদিকে আদি বিজেপি নেতা কর্মীদের এই বৈঠক প্রসঙ্গে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির নির্বাচনী অফজার্ভার কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বলেন, “এই ধরনের গোপন ডেরায় দলীয় কর্মীদের বৈঠকের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দলীয় কর্মীরা যদি সত্যিই ওই বৈঠক করে, তবে তা দলের স্বার্থেই করা হবে।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, যদি দলের স্বার্থেই বৈঠক হয়, তাহলে কেন গোপন ডেরায় বৈঠক হচ্ছে! আর কেনই বা বাছাই বাছাই ব্যক্তিদের নিয়ে সেই বৈঠক করছেন বিজেপির আদি নেতা কর্মীরা!

এদিন এই প্রসঙ্গে বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা সুকুমার খারা বলেন, “বর্তমানে যেভাবে পদ বিক্রির জন্য দরকষাকষি চলছে, তাতে নিজেদের ভাবতে কষ্ট হয়, এই দলের জন্য একদিন সর্বস্ব দিয়েছি। আমরা পুরনো দিনের বিজেপি কর্মীরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, আমরা আগামী দিনে সাংগঠনিক জেলা থেকে বিমানবাবুকে সরাব। প্রয়োজনে দলের স্বার্থে আমরা হাতে অস্ত্র পর্যন্ত তুলে নিতে পারি।” কিন্তু জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের বিরুদ্ধে তাদের এত অভিযোগ কেন! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বিমানবাবু বলেন, “যারা এই ধরনের কাজ করছে, তারা আসলে আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। সুতরাং বাইরে থেকে কে কি মন্তব্য করল, তাতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।”

তবে বিমানবাবু যে কথাই বলুন না কেন, তলায় তলায় যেভাবে বিজেপির আদি নেতাকর্মীরা নতুন কমিটির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন, তাতে বিজেপিই বিজেপির কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন জেলা নেতৃত্ব পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের এই মান ভাঙাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!