এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নয়া বিপদ গেরুয়া শিবিরে, বেনোজলের পতাকা হাতে দাপানো নিয়ে হিমশিম অবস্থা বিজেপি নেতৃত্বের

নয়া বিপদ গেরুয়া শিবিরে, বেনোজলের পতাকা হাতে দাপানো নিয়ে হিমশিম অবস্থা বিজেপি নেতৃত্বের


লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল ভালো হওয়ার পরই তৃণমূল ছেড়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। আর দলবদলু এই নেতাকর্মীদের চাপেই এখন কার্যত হিমশিম খাওয়ার অবস্থা গেরুয়া শিবিরের। অনেকে বলছেন, যারা এতদিন তৃণমূলে থেকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, তারাই এখন বিজেপিতে গিয়ে সেই একই কাজ করতে শুরু করেছেন। যার কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।

আর পরিস্থিতি এমনই বেগতিক যে এবার পদ্মফুল আঁকা পতাকা হাতে নিয়ে যারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের গতি রোধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যাচ্ছে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরের বিজেপির দুই সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র এবং স্বপন ঘোষকে।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূলের কার্যালয় দখল করা, শাসক দলের কর্মীদের মারধর, এমনকি বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের কর্মীদের ঘরছাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্র বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থীরা জয়লাভ করার পরই এই এলাকা থেকে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অনেক নব্য বিজেপি নেতা কর্মীরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করেছেন। যা কার্যত অস্বস্তির কারণ বিজেপির কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলের একাংশ বলছেন, তৃণমূলে থাকার সময় এই ব্যক্তিরাই সন্ত্রাস করেছিল। যার কারণে শাসক দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। এখন সেই একই মানুষগুলো যদি বিজেপিতে এসে সেই একই প্রকারের অত্যাচার চালাতে থাকে তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে দলের লক্ষ্য পূরণ হবে না। তাই এখন থেকেই দলীয় শৃঙ্খলা জরুরি বলে দাবি করতে শুরু করেছেন বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা।

এদিন এই ব্যাপারে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, “সমস্ত থানায় আমরা মৌখিকভাবে বলে দিয়েছি বিজেপির পতাকা নিয়ে কেউ কোথাও ঝামেলা করলে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দলের এটা সংস্কৃতি নয়। আমাদের বেনোজল রুখতে হবে।” একই কথা বলেছেন বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রও। তবে এই ব্যাপারে অবশ্য গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, “একসময়কার সিপিএমের হার্মাদরাই এখন বিজেপি হয়ে এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি করছে। আসলে দলীয় কর্মীদের ওপর যে বিজেপি নেতাদের নিয়ন্ত্রণ নেই, তা মানুষ বুঝে গিয়েছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যখনই শাসকের পরিবর্তন হয় তখনই বিভিন্ন দল থেকে বিভিন্ন ধরনের মানুষ অন্য দলে যোগদান করতে শুরু করে। লোকসভা ভোটের পর বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির উত্থানের পরই তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছে, আর তারপরই তারা এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি করছে। তবে শৃংখলাবদ্ধ দল হওয়ায় অন্য দল থেকে আসা বেনোজল রুখতে গেরুয়া শিবির যে অনেকটাই কঠোর ভূমিকা নেবে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!