এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির উত্থান নাকি নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? শাসকদলের কাছে লোকসভা নির্বাচনে বেশি মাথাব্যাথা কোনটা?

বিজেপির উত্থান নাকি নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? শাসকদলের কাছে লোকসভা নির্বাচনে বেশি মাথাব্যাথা কোনটা?

2011 সালে পালাবদলের পর ক্ষমতায় বসেই একের পর এক নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্যের মুখ দেখেছে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। 2013 র পঞ্চায়েত থেকে 2014 র লোকসভা, এমনকি সম্প্রতি 2018 র পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ঘাসফুল। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকেই রাজ্যের প্রায় কিছু জেলাতেই তাল কাটতে শুরু করেছে শাসক দলের।

মূলত জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। যার কারণ হিসেবে অনেকেই দায়ী করছেন, শাসকদল স্থানীয় নেতাদের ব্যার্থতাকেই। বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের স্বজনপোষণ, দুর্নীতিতে বিদ্ধ হওয়ার কারণেই এহেন ফল বলে শাসকদলের অন্তর্তদন্তের রিপোর্টে তা উঠে এসেছে।

আর যার জেরে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আর শাসকের এই দলীয় কোন্দলে ভাগ বসিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। কেননা প্রায় বছর খানেক আগেই শাসক দল তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত মুকুল রায় যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ফলে মুকুলবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের ভিত অনেকটাই নড়বড়ে হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত দাবিকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের মতে, গঙ্গা থেকে একঘটি জল তুলে নিলে কিছুই এসে যায় না। তবে গঙ্গা থেকে একঘটি জল তুললে তাতে গঙ্গার কিছু না আসলেও মুকুলবাবু বিজেপিতে আসার পর গেরুয়া শিবিরের শক্তি যে কিছুটা হলেও বেড়েছে সেই ব্যাপারটি স্বীকার করছে রাজনৈতিক মহলও।

কিন্তু সামনেই যে লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লোকসভা নির্বাচনে একদিকে জেলায় জেলায় দলীয় কোন্দল, আর অন্যদিকে ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলা বিজেপির বাড়বাড়ন্ত কোনটা সামাল দেবে আগে? এই নিয়ে একটু হলেও চিন্তিত ঘাসফুল শিবির।  আর দলের গোষ্ঠীকোন্দল থামাতে ও বিজেপিকে আটকাতে ঠিক কী কৌশল নেবে তৃনমূল কংগ্রেস এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। তবে নিজেদের দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও বিজেপির বাড়বাড়ন্তকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দলের নেতৃত্বরা। তাঁদের দাবি, উন্নয়নই একমাত্র হাতিয়ার।

এ প্রসঙ্গে বিগত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনকেও উদাহরণ হিসেবে টেনে আনছেন অনেকে। একাংশের মতে, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা, সারদার মত ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেও তৃণমূলকে রোখা যায়নি। উল্টে রাজ্যের প্রায় সিংহভাগ আসন দখল করে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি নির্বাচনে জিততে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী বলে দলীয় প্রতীকে দাড়ানো প্রার্থীদের ভোটে জেতাতে মানুষের কাছে আবেদন করেছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই আবেদনেই সাড়া দিয়ে সাধারন মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আর তাই 2016 র মতই যতই সমস্যা থাক না কেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে নামলে 42 এ 42 টা আপনি যে শাসকদলের দখলে থাকবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত তোপসিয়ার তৃনমূল ভবনের ম্যানেজাররা।

তবে উদ্বিগ্ন আরেকাংশ। তাদের মতে শক্ত হাতে হাল না ধরলে কিন্তু কোনো অঘটন ঘটলেও ঘটতে পারে। কেননা বিজেপি গোকুলে বাড়ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক কি হবে? আদৌ বিজেপির উত্থান এবং নিজেদের দলের কোন্দল থামিয়ে আগামী লোকসভায় বাংলা থেকে 42এ 42 করতে পারেন কিনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!