এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার দলীয় কর্মসূচিতেও লুকোনো যাচ্ছে না দ্বন্দ্ব! অস্বস্তি তৃণমূলে

বিজেপির অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার দলীয় কর্মসূচিতেও লুকোনো যাচ্ছে না দ্বন্দ্ব! অস্বস্তি তৃণমূলে


দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বিজেপিকে চাপে রাখতে এখন ধীরে ধীরে লকডাউনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক বৈঠক করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। যেখানে সরকার দুর্যোগের সময় কিভাবে মানুষকে সহযোগিতা করেছে, তা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জনসাধারণকে জানাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্যকে কুপোকাত করতে তৃণমূল মাঠে নামলেও তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই অস্বস্তিতে ফেলতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

সূত্রের খবর, দলের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে এবার পান্ডুয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। নিয়মানুযায়ী, যে সমস্ত বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক নেই, সেখানে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ওপর সাংবাদিক সম্মেলনের দায়িত্ব পড়েছে। পান্ডুয়া বিধানসভা তৃনমূলের দখলে না থাকায় সেই দায়িত্ব পড়েছিল ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের ওপর।

মঙ্গলবার দুপুরে সেই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেই মতো তিনি সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু যখন সাংবাদিক সম্মেলন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই বৈচীগ্রামে সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ রত্না দে নাগকে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনিসুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায়রা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা এবং তৃণমূল নেতা রহিম নবিদের এই সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা যায়নি। আর একদিনে দলের পক্ষ থেকে দুই ধরনের সাংবাদিক সম্মেলন করায় তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাহলে দলের পক্ষ থেকে কারা এই দায়িত্ব পালন করল? দল তো দুই নেতাকে দুইভাবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেয়নি! যে কোনো বিধানসভায় একজন নেতাকেই সাংবাদিক সম্মেলন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

এক্ষেত্রে পান্ডুয়া বিধানসভায় এরকমটা হল কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়নি। তাই যাইনি। যা বলার দলের নেতাদের বলব।” অন্যদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ বলেন, “সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। হয়ত অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় ওনারা আসতে পারেননি।” তবে দলের দুই নেতা নেত্রী এই ব্যাপারে যে কথাই বলুন না কেন, দলের গোষ্ঠী কোন্দল যে গোটা ঘটনায় অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে এল, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আর এখানেই একাংশ বলছেন, দল চাইছে এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজেপিকে কুপোকাত করতে। কিন্তু তা করতে গিয়ে যেভাবে তৃনমূল বনাম তৃনমূলের দ্বন্দ্ব বাঁধছে, তাতে বড় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শাসক শিবিরকে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!