এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্নে এবার বড়সড় ‘আশীর্বাদ’ হয়ে উঠতে চলেছেন স্বয়ং বিদ্যাসাগর?

বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্নে এবার বড়সড় ‘আশীর্বাদ’ হয়ে উঠতে চলেছেন স্বয়ং বিদ্যাসাগর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু তৃণমূল নেতাই বিজেপির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে থাকেন, তা হলো বিজেপি হলো অবাঙালি তথা বহিরাগতেরর দল, বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপির বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই। বংলার ইতিহাস, ভূগোল কোনোটিতেই তাদের বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই। তৃণমূলের তরফ থেকে ওঠা এই অভিযোগের বারবার উপযুক্ত জবাবও দিতে গেছে বিজেপিকে। যুক্তি দিয়ে তাঁরা দেখিয়েছেন, তাঁরা মোটেই বহিরাগত নন, কারণ বিজেপির পূর্বসূরি জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা তথা বিজেপির প্রাণপুরুষ ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বাঙালি ছিলেন।

সম্প্রতি বিজেপি ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাঙালি সংস্কৃতির আরাধনা করতে শুরু করে, এমনটাই উঠে এসেছে সংবাদসূত্রে। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কলকাতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের নির্বাচনী ব়্যালির সময়েদেখা যায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা, এই নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি দুজনেই দুজনের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন। করা ভেঙেছে তা এখনো জানা যায়নি। এবার বাঙালির তথা ভারতবাসীর নবজাগরণের প্রাণপুরুষ শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী বিদ্যাসাগরকেই পাথেয় করে চলবার বার্তা দিলেন বিজেপির সেকেন্ড ইন কমান্ড, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ।

ইতিহাসের পাতায় এক স্বনামধন্য নাম বিদ্যাসাগর। বিদ্যায়, পান্ডিত্বে যিনি ছিলেন সাগরের মতো অতলাভ, সেইসঙ্গে তিনি ছিলেন দয়ার সাগর। সংস্কৃত ব্যাকরণ, সাহিত্য, দ্বান্দ্বিকতা এবং বেদান্ত বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। শৈশবে তিনি নিজের গ্রাম বীরসিংহ থেকে কলকাতা যাবার পথে মাইলফলক পরে ইংরেজি সংখ্যা শিখেছিলেন। বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় তিনি রাস্তার আলোয় পড়াশোনা করেছিলেন। জীবনের সকল পরীক্ষায় তিনি আসীন হয়েছিলেন শেষ্ঠত্বের আসনে। সংস্কৃত কলেজে পড়াশোনা, পরে সেই কলেজের অধ্যক্ষের পদে উন্নীত হওয়া।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নিপীড়িত মানুষের দুঃখ দূরীকরণে ও নারী মুক্তির সংকল্পে নিজের কপর্দক শুন্য করে ফেলেছিলেন এই মহাপুরুষ। আজ বিদ্যাসাগরের মৃত্যবার্ষিকী। বিদ্যাসাগরকে শদ্ধা জানিয়ে অমিত শাহ টুইটারে বার্তা দিয়েছেন যে, যাঁর ‘বর্ণপরিচয়’ গ্রন্থটি দিয়ে শুরু হয় সকলের হাতেখড়ি, বিধবা বিবাহ যিনি সমাজে প্রচার করেছিলেন, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে যিনি মানুষকে সচেতন করেছিলেন। তাঁর পথ ধরেই এগোতে চান বিজেপির নেতৃবৃন্দ। সেইসঙ্গে বাংলা তথা ভারতের সমাজ ও সংস্কৃতিতে বিদ্যাসাগরের অসীম অবদানের কথাও অমিত শাহ তুলে ধরেন।

বিদ্যাসাগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছেন, “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সশ্রদ্ধ প্রণাম। একজন বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক এবং বঙ্গ রেনেসাঁর অন্যতম স্তম্ভ তিনি। নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা বহু সামাজিক কুফলকে নির্মূল করেছিল। এবং বিধবাদের পুনরায় বিবাহ আইনকে সম্ভব করে তুলেছে।” এদিন বিদ্যাসাগরকে শদ্ধা জানিয়েছেন বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, “শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক সংস্কার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য, তিনি অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছেন আমাদের কাছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করে জানান, “বঙ্গীয় নবজাগরণের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। নারী শিক্ষায় এবং বিধবা-পুনর্বিবাহকে বৈধ করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।” তবে বিদ্যাসাগরের মৃত্যুবার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের শ্রদ্ধানিবেদনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন মহান সমাজ সংস্কারক, এবং ধর্মনিরপেক্ষ মুক্ত-চিন্তার অগ্রদূত হিসেবে তিনি এখনো আমাদের সমাজের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন। কিন্তু আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে এখন বিদ্যাসাগরের মূল্যবোধকে সম্মান জানাচ্ছেন অমিত শাহ। অমিত শাহকে তাঁর এই ক্ষুদ্র মানসিকতা থেকে উত্তরণের আহ্বান জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!