এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, কিন্তু তৃণমূল নয়? কর্মীসভায় তীব্র ক্ষোভ রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর

বিজেপি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, কিন্তু তৃণমূল নয়? কর্মীসভায় তীব্র ক্ষোভ রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ব্যাপক ভরাড়ুবির কারণ খুঁজতে গিয়ে শাসক দলের কাছে উঠে আসে বিস্ফোরক কিছু বিষয়। যেখানে দলীয় নেতাদের মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার থেকে শুরু করে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলকে ডুবিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সংগঠনে পরিবর্তন এনে নেতারা যাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান নেতারা, তার জন্য শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বার বার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু তা যে নীচুতলার নেতাদের কানে এখনও পর্যন্ত প্রবেশ করেনি, তা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল। সূত্রের খবর, শুক্রবার দেওগা হাইস্কুলের মাঠে দেওগা পঞ্চায়েতের বুথ কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন ফালাকাটা বিধানসভা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, চেয়ারম্যান দশরথ তিরকে, ফালাকাটা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্তোষ বর্মন সহ অন্যান্যরা।

আর এই বৈঠক থেকেই নেতাদের কিছুটা সতর্ক করে দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের কাছে যে আরও বেশি করে পৌঁছে যেতে হবে, তা সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। এদিন রাজ্যের বনমন্ত্রী বলেন, “ফালাকাটা বিধানসভায় বিপুল মার্জিন নিয়ে পরপর দুবার জিতেছিলেন অনিল অধিকারী। তার সময়ে এখানকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তারপরেও লোকসভা ভোটে আমরা কেন পিছিয়ে গেলাম, পর্যালোচনা করে তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এটা পাইনি, ওটা পাইনি বললে হবে না। কাজ করতে হবে। শুধু দলকে প্রাধান্য দিতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই বিজেপি মানুষের বাড়িতে পৌঁছাতে শুরু করলেও, কেন এখনও তৃণমূল ঠিকমতো সেই কাজে নজর দিচ্ছে না, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন ফালাকাটার পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে বিজেপি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। ফালাকাটা আসন ধরে রাখতে দলের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। কোন নেতা কি বললেন এসব শুনবেন না। নেতাদের কথা ভুলে যান। নিজেদের কথা ভাবুন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাথা নিচু করে মানুষের সমস্যা অভিযোগ শুনুন।‌ নোটবুক সঙ্গে রাখুন। তাতে মানুষের কথা নোট করুন।”

অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেখানে বারবার বলা হয়েছে, জনসংযোগ স্থাপন করতে হবে, সেখানে নেতারা যদি এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে জনসংযোগ না করেন, তাহলে যে ভবিষ্যতে জয় আসবে না, তা উপলব্ধি করেছেন তৃণমূলের অনেকেই। তাই ফালাকাটা বিধানসভার মত তৃণমূলের শক্তিশালী কেন্দ্রে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত সত্বেও কেন তৃণমূল মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছে না, তা নিয়ে দলের নেতাদের সতর্ক করে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে দুর্নীতি যাতে না হয়, তার ব্যাপারেও এদিন সকলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। সব মিলিয়ে একদিকে দুর্নীতি বন্ধ এবং অন্যদিকে জনসংযোগ স্থাপনের যে নির্দেশ রাজীববাবু ফালাকাটার তৃণমূল নেতাদের দিলেন, এখন নীচুতলার তৃণমূল নেতারা তা কতটা দায়িত্ব সহকারে পালন করতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!