ত্রিপুরাতেও এবার ক্রমশ শক্তি প্রদর্শন করছে বিজেপি জাতীয় বিশেষ খবর November 24, 2017 আপাতত বিজেপির পাখির চোখ গুজরাট, কিন্তু গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন মিটলেই তারা ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় দুটি যুদ্ধে, এক – পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন আর দুই – ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। বাম অধ্যুষিত ত্রিপুরায় ২০১৮ তে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ত্ব। আর সেই লক্ষ্যেই ধীরে ধীরে ত্রিপুরাতে শক্তি প্রদর্শন সুর করে দিল তারা। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে খবর সংগ্ৰহ করতে গিয়ে সাংবাদিক খুনের ঘটনায় রাজ্য সরকার বেশ অস্বস্তিতে আর তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে আসরে বিজেপি। গতকাল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের সচিবালয়ে ঢুকতেই দিল না বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধে নেতৃত্ত্ব দেন প্ৰদেশ সভাপতি বিপ্লব দেব ও রাজ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা সুনীল দেওধর। সূত্রের দ্বারা প্রাপ্ত খবরে জানা যাচ্ছে, বন্ধে বিপর্যস্ত হয়েছে রাজ্যের জনজীবন। গোলমালের আশঙ্কায় আগরতলা শহরের দোকানপাট, স্কুল-কলেজও কার্যত বন্ধই ছিল। সরকারি দফতরেও হাজিরার হার ছিল নগণ্য। বন্ধ ছিল বেসরকারি যান চলাচলও। তবে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা যাচ্ছে, আদতে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষ বাধাতে চাইছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীরা তাদের সেই প্ররোচনায় পা না দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেন। বাড়িতে বসেই তাঁরা সরকারি কাজকর্ম করেছেন। রাজ্য সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাস জানান, বিজেপি রাজ্যে গুন্ডামি করছে। কংগ্রেস জমানায় এমন গুন্ডামি এবং সন্ত্রাস রাজ্যের মানুষ দেখেছে। তখন যাঁরা কংগ্রেসি সন্ত্রাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁরাই এখন বিজেপিতে। আপনার মতামত জানান -