এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সদ্য হওয়া বিধানসভায় গেরুয়া ঝড়ের দাপটে বিরোধীরা কুপোকাত, বাংলা নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বিজেপি

সদ্য হওয়া বিধানসভায় গেরুয়া ঝড়ের দাপটে বিরোধীরা কুপোকাত, বাংলা নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বিজেপি


2019 সালের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে গোটা ভারতবর্ষের প্রায় সকল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কার্যত এক মঞ্চে এসে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের বিরোধিতা করেছিলেন। দক্ষিণের চন্দ্রবাবু নাইডু থেকে শুরু করে শরদ পাওয়ার, পূর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কংগ্রেস অধ্যক্ষ সোনিয়া গান্ধী, সকলেই প্রায় এক সুরে এনডিএ সরকারের বিরোধিতা করে ময়দানে নেমেছিলেন।

কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই কার্যত ভারতবর্ষের রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে বিরোধীরা খোলাম খুচির মত ছড়িয়ে পড়ে। আর 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকেও বেশি আসন লাভ করে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় শপথ গ্রহণ করেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। একক ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি 300 র থেকেও বেশি আসন লাভ করে। যা এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির সব থেকে ভালো পারফর্মেন্স।

তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে ভারতবর্ষের রাজনীতির নিরিখে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। এমত অবস্থায় ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায়। যদি বিভিন্ন বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের ওপিনিয়ন পোলগুলোতে লক্ষ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, প্রায় সবকটি ওপিনিয়ন পোলেই বলা হচ্ছে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানাতে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার।

তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আবারও গেরুয়া ঝড়ে বিধ্বস্ত হতে চলেছে ভারতবর্ষের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু একদিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকেই রাজনীতির বনে’ মহীরুহ আকৃতি ধারণ করা ভারতীয় জনতা পার্টি গোটা ভারতবর্ষে নিজেদের অপারেশন লোটাস সক্ষম করতে তৎপর, অন্যদিকে তেমনই বিজেপির এই জয়যাত্রার পথে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

ইতিমধ্যেই বাংলা দখল করতে তৎপর হয়েছে ভারতবর্ষের গেরুয়া শিবির। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সভাপতি তথা বর্তমানে ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রচারের নিরিখে সবথেকে বেশি মনোযোগী হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ – এই দুই রাজ্যেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভারতীয় জনতা পার্টি নিজেদের পরিশ্রমের ফল হাতেনাতে পেয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যে যেখানে বিজেপি ঝড়ের কাছে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে বিরোধীরা, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কিন্তু বিজেপির ব্যাপক উত্থান ঘটলেও সংখ্যার হিসেবে তাদের থেকে চারটি আসনে এগিয়ে রয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

যদিও আগামী 2021 সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তাতে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী বঙ্গ তথা সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তবুও বাংলার ক্ষেত্রে জয়যাত্রা চালাতে গেরুয়া শিবিরকে যথেষ্ট কাঠখড় যে পোড়াতে হবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত প্রায় সকল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়ার মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাস অনেক বাড়তি উৎসাহ যুগিয়েছে বঙ্গ বিজেপির কার্যকর্তাদের মনে। সকলেই মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনে মোদি হাওয়া যদি মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও সক্রিয় থাকতে পারে, তাহলে আগামী 21 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনেও সেই নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক পুরোমাত্রায় সফল হবে বাংলায়।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করেই প্রধান বিরোধী দলের তকমা অর্জন করে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর বিগত লোকসভা নির্বাচনে তো অন্যান্য বিরোধী দলগুলির অস্তিত্ব সংকটে ফেলে বাংলায় ঘোষিত বাস্তবিক প্রধান বিরোধী দলের আসন লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মত একাংশের।

তাছাড়াও সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রায় সকলেই বাংলার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। শুধু তাই নয়, যে আরএসএসকে ভারতীয় জনতা পার্টির ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বলা হয় অনেক রাজনীতিবিদের তরফে, সেই আরএসএস প্রধান সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত নিজে বহুবার বাংলা যাত্রা করেছেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজের বঙ্গ যাত্রায় ভাগবত ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নেতৃত্বের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। আগামী দিনে জয়লাভ করার জন্য মোহন ভাগবত ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতাদেরকে যথেষ্ট উপদেশ দিয়েছে বলেও জানা যায়।

আর এবার মহারাষ্ট এবং হরিয়ানায় যে ভোট হয়ে গেল, তাতে যদি ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে বাংলার ক্ষেত্রে যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ দ্বিগুণ বেড়ে যাবে, তা সন্দেহের অবকাশ রাখে না। বিশ্লেষকদের মতে, এবার ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নেতৃত্ব ও 2021 সালে নিজেদের দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য প্রায় সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। অনেক সময় অতি উৎসাহের বসে তৃণমূল এবং বিজেপির দুই দলের নেতৃত্ব পরস্পরের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি বার্তা প্রদান করেছেন।

কিন্তু যদি হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির জয়ের খবর আসে, তাহলে কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে বা বাংলার ভারতীয় জনতা পার্টি কর্মী-সমর্থকদের কাছে যথেষ্ট উৎসাহ বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে ভারতীয় জনতা পার্টি কতটা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারছে, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!