প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত কয়েক দিন যাবত শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী সম্পর্কে শোনা যাচ্ছিল, তিনি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন। তিনি বিধায়ক হবার পর তাঁর স্বামীকে ছেড়ে ড্রাইভারকে বিয়ে করেছেন এবং অন্যত্র চলে গিয়েছেন। কিন্তু পরে গতকাল চন্দনা বাউরি নিজে তাঁর স্বামীকে পাশে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন এবং জানান, তিনি বিবাহিত ও তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। কার্যত তিনি এই পুরো বিষয়টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু এবার বিজেপি বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ঘিরে আবার নতুন করে রহস্য দানা বেঁধেছে।

কার্যত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা সেলিব্রিটিদের একাধিক ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজটাকে কিন্তু সেক্ষেত্রে যেকোন একটিতে ব্লু টিক দেওয়া অর্থাৎ ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থাকে, বোঝা যায় সেটি আসল অ্যাকাউন্ট কিন্তু চন্দনা বাউরি এতগুলি প্রোফাইল এবং পেজ রয়েছে, যার কোনটিতেই কোন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেই। গত দু’দিন ধরে চন্দনা বাউরীকে নিয়ে ক্রমাগত চর্চা চলছে। প্রথমে বিজেপি বিধায়কের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে ঝড় উঠেছিল। সেক্ষেত্রে চন্দনা জানিয়েছেন, পারিবারিক কিছু সমস্যা নিয়ে তিনি স্থানীয় থানায় গিয়েছিলেন, এর বেশি কিছু না।

কিন্তু বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর স্ত্রী তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল অভিযোগ করেন, পরকীয়ার কারণেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন চন্দনা বাউরী। যদিও রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় কুৎসার রাজনীতি করার। অন্যদিকে এই বিজেপি বিধায়কের ছটি পেজ এবং পাঁচটি ব্যক্তিগত প্রোফাইল পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যেকটিই অ্যাক্টিভ। শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সামলান বিজেপির আইটি সেল এর কর্মী ধনঞ্জয় বাউল। তিনিও জানিয়েছেন, ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ মাসের মধ্যে সবকিছু হয়ে যাবার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি।

কার্যত দেখা যাচ্ছে, তিনিও জানেন চন্দনা বাউরীর অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কথা। এ প্রসঙ্গে এথিকাল হ্যাকার মহাম্মদ রেজা জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই এতগুলি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। কারণ তা যদি না হয়, তাহলে সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হতেন নেত্রী। তা কিন্তু এখনো হয়নি। প্রসঙ্গত একের পর এক বিতর্ক যেভাবে বিধায়ক চন্দনা বাউরীকে ঘিরে জমে উঠেছে তা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই জল্পনা ঘিরে ক্রমশ বেড়ে উঠছে তৃণমূল ভার্সেস বিজেপির দ্বন্দ্ব। পাশাপাশি শুরু রাজনৈতিক মহলেও তীব্র গুঞ্জন।