এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপি বিধায়কের দলবদল, রহস্য ফাঁস করলেন শুভেন্দু! জেনে নিন কারণ!

বিজেপি বিধায়কের দলবদল, রহস্য ফাঁস করলেন শুভেন্দু! জেনে নিন কারণ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মুকুল রায়ের পর এই প্রথম কোনো বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষের গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান যথেষ্ট চাপে ফেলে দেয় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার কথা বলে বিধায়করা যাতে তৃণমূলে যোগ না দেন, তার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার সেই চেষ্টা কি বিফলে চলে গেল? তন্ময় ঘোষের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই এই প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছিল। আর এবার গোটা বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যেখানে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে এই দলবদল করানো হয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার তৃণমূল ভবনে বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। যেখানে তার হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর তারপরই বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া আসে, তার দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অবশেষে গোটা বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “আমি তন্ময় ঘোষকে চিঠি দেব, তার রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য। আমি জানি তিনি কোনো উত্তর দিতে পারবেন না। এখানকার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জন্মাষ্টমীর দিন তড়িঘড়ি গিয়ে তিনি যোগ দিয়েছেন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ তাকে ভয় দেখিয়েছে। তোমাকেও এবার যেতে হবে। তাই তড়িঘড়ি তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগদান করেছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানোর কারণেই যে তন্ময় ঘোষ চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে, তা নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারী নিজের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত চাপের মুখে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগে মুকুল রায় দলবদল করার পর যাতে আর কেউ দলবদল করতে না পারেন, তার জন্য দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে উঠেপড়ে লেগেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার তৎপরতার ফলেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, তিনি নিজের দলের সমস্ত বিধায়ককে একত্রিত করে রাখতে চান। এমনকি রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জল্পনা তৈরি হলেও, সেই পথ মাড়াতে দেখা যায়নি কোনো বিজেপি বিধায়ককে।

শুভেন্দু অধিকারীর তৎপরতার কারণেই যে কেউ সেই সাহস অবলম্বন করতে পারছেন না, তা কার্যত পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। তবে বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগদান করার পর থেকেই এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী কি প্রতিক্রিয়া দেন, তার দিকে নজর ছিল সকলের। অবশেষে গোটা বিষয়ে মন্তব্য করে তৃণমূলের চাপ দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!