বিজেপি বিরোধী জোট কি সম্পন্ন? মোদীর অস্বস্তি বাড়িয়ে তৃণমূলের পদক্ষেপে জল্পনা! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি August 6, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে সাম্প্রতিককালে সবথেকে বেশি সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিল্লিতে গিয়ে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি বিজেপি বিরোধিতায় যে সকল বিরোধী দলকে এককাট্টা হতে হবে, সেই বার্তা বিরোধী দলের একাধিক নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে মনে করা হয়েছিল, আগামী দিনে তিনি বিজেপি বিরোধিতায় প্রধান নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারেন। এমনকি তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বাংলার নেতাকর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী দিনে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের প্রধান মুখ বলে দাবি করতে শুরু করেছিলেন। তবে প্রথম থেকেই অবশ্য বিজেপি এই বিরোধী মহাজোটের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও এভাবে বিরোধী জোট গঠনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। তাই এবারেও বিরোধী মহাজোট গঠনের আগেই তা ভেঙে পড়বে বলে কটাক্ষ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে কৃষকদের বিক্ষোভ মঞ্চে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে দেখা গেল তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট সাংসদকে। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস আগামী দিনে বিজেপি বিরোধিতায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাথে নিয়ে এক মঞ্চে থেকে গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে রীতিমতো প্রস্তুত। আর সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতিনিধি হিসেবে তিন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ এই কৃষকদের বিক্ষোভ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে যে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে চায়, সেই বার্তা দিতে চাইল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন দিল্লির যন্তর মন্তরে কৃষকদের অবস্থান-বিক্ষোভে সকল বিরোধী দলের উপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে দেন রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর তারপরেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে, এই অবস্থান মঞ্চ থেকেই আগামী দিনে বিজেপির বিরোধিতায় যে সকল দল এক, তা প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধীরা। আর এর পরেই দেখা যায় যে, সেই বিজেপি বিরোধী মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন তিন তৃণমূল সাংসদ। জানা গিয়েছে, দোলা সেন, অপরুপা পোদ্দার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে কৃষকদের সেই অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। একাংশ বলছেন, জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের ভূমিকা আরও গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছে দিতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তিন প্রতিনিধি এই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে বিজেপিকে চাপে রাখতে বিরোধী মহাজোট গঠনের উদ্যোগ, আর অন্যদিকে বিরোধী মহাজোট গঠন হলে তার মধ্যে যাতে নিজেদেরকে সবথেকে শীর্ষে তুলে ধরা যায়, তার জন্যই তৃণমূলের এই সক্রিয়তা। কেননা কৃষকদের এই অবস্থান মঞ্চে যদি তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি না যেত, তাহলে বিরোধী জোটে নির্ণায়ক শক্তি গঠনের দিক থেকে অনেকটাই পিছনে পড়ে যেত ঘাসফুল শিবির। তাই গোটা বিষয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে এবং বিজেপিকে আরও বেশি করে চাপে ফেলে দিতেই তৃণমূলের তিন প্রতিনিধির উপস্থিতি বলে মনে করছেন একাংশ। কেননা যে যাই বলুন না কেন, বিরোধী মহাজোট গঠনে যাতে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা সেখানে সবথেকে বেশি থাকে, তার জন্য প্রতিটা দল তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের বিক্ষোভে অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হয়ে শ্যাম এবং কুল দুই বজায় রাখার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট সাংসদ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -