প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সকলেই। তবে অতীতকে স্মরণ করে অনেকেই এই বিরোধী মহাজোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। কেননা 2019 সালের আগেও এই বিরোধী মহাজোট তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। তাই এবারে যদি সেই বিরোধী মহাজোট গঠন করতে হয়, তাহলে প্রথম থেকেই সকলকে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলে দাবি করেছিলেন সকলে। ইতিমধ্যেই একাধিক আলোচনা হয়েছে। কর্মসূচি হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতারভাবে আন্দোলন করার।

কিন্তু তারপরেও সেভাবে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের বিজেপির বিরুদ্ধে সেভাবে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তবে অবশেষে আজই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য দেখা যেতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। যার জেরে যেমন আশার আলো তৈরি হয়েছে বিরোধী শিবিরে, ঠিক তেমনই কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরা একটি বৈঠকে বসেছিলেন। আর তার আগেই জানা যায় যে, কৃষকদের পক্ষ থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে যে অবস্থান হচ্ছে, সেখানে বিরোধী দলের সকল জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যেই সেই কথা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর তারপরেই জল্পনা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবার হয়ত ধীরে ধীরে বিরোধী মহাজোট নিজেদের খেলা দেখাতে শুরু করবে। যার প্রধান কর্মসূচি, কৃষকদের প্রতিবাদে পাশে থাকে বিজেপিকে চাপে ফেলে দেওয়া। তবে যদি সত্যিই সকল বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা এককাট্টা হয়ে কৃষকদের এই আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত হন, তাহলে বিজেপির চাপ যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তৃণমূল নেত্রী তুলে ধরেছেন, তার কাছে এখন প্রধান লক্ষ্য বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আর সেই কারণেই যে এখন থেকেই সকল বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে সংসদের ভেতরে এবং বাইরে এক হতে হবে, সেই কথা বারবার তুলে ধরছে ঘাসফুল শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হলেও এবার বিজেপিকে সরানোর জন্য যে সকল বিরোধী দল এক ছাতার তলায় আসতে চলেছে, তা মল্লিকার্জুন খাড়গের এই কথার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেল।

সেদিক থেকে কৃষকদের এই আন্দোলনে পাশে থেকে যদি সকল বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা যন্তরমন্তরে গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বিরোধী মহাজোট তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিলেও, বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে আজ সকল বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা এক হয়ে কৃষকদের এই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়ে কেন্দ্রের শাসক দলকে বার্তা দিতে চাইছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।