১০০% সফল অর্জুন সিংয়ের ‘অপারেশন’, দিল্লি পৌঁছেই গেছি দাবি বিজেপি প্রার্থীর নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 7, 2019 গতকাল সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও পঞ্চম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এদিন ৩ জেলার ৭ আসনে ভোটগ্রহণ হলেও সবথেকে বেশি আগ্রহ ছিল ব্যারাকপুর আসন নিয়ে। কেননা এই আসনে অন্যতম প্রার্থীর নাম ছিল – অর্জুন সিং। মুকুল রায় দল ছাড়ার পর যাঁর উপ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল সামলানোর জন্য সব থেকে বেশি নির্ভর করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। অথচ ‘যোগ্য সম্মান’ না পাওয়ার ক্ষোভ সেই নেত্রীর বিরুদ্ধেই উগরে দিয়ে, এতদিন যে তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে জিতিয়ে এসেছিলেন অর্জুন সিং – এবার তাঁরই প্রধান চ্যালেঞ্জার হয়ে গেছেন তিনি। ফলে, ব্যারাকপুর আসন কার্যত ছিল তৃণমূল-বিজেপির প্রেস্টিজ ফাইট। প্রার্থীর নাম যাই হোক না কেন, এই আসনে পর্দার পিছনে লড়াইটা ছিল মমতা ব্যানার্জি-অভিষেক ব্যানার্জি-জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনাম মুকুল রায়-অর্জুন সিং। সেই লড়াইয়ে জিতলেন কে? তা বোঝা যাবে আগামী ২৩ শে গণনার পর। কিন্তু, গতকাল পুলিশের হাতে মার্ খেয়ে মুখ ফাটিয়ে, দুষ্কৃতীদের তাড়া করতে গিয়ে পরে গিয়ে হাত-পা ছোড়ে, তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে – সারাদিন খবরের শিরোনামে থেকে ‘ম্যান-অফ-দা-ম্যাচ’ কিন্তু অর্জুন সিংই – মেনে নিচ্ছেন প্রায় সব ভোট বিশেষজ্ঞ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, খবরের শিরোনামে থাকা – আর তৃণমূলের কঠিন চ্যালেঞ্জ পার করে শেষ হাসি হাসার মধ্যে কিন্তু আসমান-জমিন ফারাক! অর্জুন সিং কি পারবেন সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে? ব্যারাকপুরের ভোট মিটতেই কিন্তু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শিল্পাঞ্চলের আকাশে-বাতাসে। বিশেষ করে, নির্বাচনের আগের দিন তিনি জানিয়েছিলেন যে ‘নতুন অপারেশন’ দিয়ে তিনি বাজিমাত করবেন! দিনের শেষে কি কাজ করেছে তাঁর সেই অপারেশন? আটকানো যাবে দীনেশ ত্রিবেদীর হ্যাটট্রিক? একদা বামদুর্গ বলে পরিচিত ব্যারাকপুরে পদ্মের জয়যাত্রা শুরু হবে? দিনের শেষে ভোট করিয়ে এইসব প্রশ্নের উত্তর সংবাদমাধ্যমকে দিলেন অর্জুন সিং নিজেই। অর্জুনবাবুর বক্তব্য, বাড়িতে বসে থাকলে তো আক্রমণ হত না! আমি তো ঠান্ডা ঘরে বসে থাকতে পারতাম, কিন্তু, তাতে আমার কর্মীদের মনোবল ভাঙত! কর্মীরা লড়াই দিতে পারত না। তাঁর আরও বক্তব্য, সব পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেসের ‘গুন্ডাকে’ নিজের পিছনে লাগিয়ে, মানুষকে শান্তিতে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন – এটাই ছিল তাঁর ‘পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন’! তিনি খুশি যে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন, কিছু কিছু জায়গায় গন্ডগোল হতে পারে তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, হয়েছেও। কিন্তু অর্জুনবাবুর বিশ্বাস, ঐসব জায়গায় ২০-৫০ টির বেশি ছাপ্পা পরে নি, কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো তফাৎ হবে না। তৃণমূলের ভোট এতে নাকি খুব বেশি হলে ০.১% বাড়বে! আর তাই তৃপ্তির হাসি হেসে দিনের শেষে জানিয়ে দিলেন, দিল্লিতে ইতিমধ্যে চলে গেছি! আপনার মতামত জানান -