এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রার্থী তালিকা প্রকাশে লাগবে সময় – বিজেপি জোর দিচ্ছে দেওয়াল লিখনেই

প্রার্থী তালিকা প্রকাশে লাগবে সময় – বিজেপি জোর দিচ্ছে দেওয়াল লিখনেই


বাংলা থেকে ২৩ আসনজয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নেমেছে বিজেপি। রবিবার লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস এবং আগামীকাল বামফ্রন্ট নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে।

একই অবস্থা গেরুয়াশিবিরেও। তবে তাঁদের প্রার্থী তালিকা কবে প্রকাশিত হবে এখনো তা জানা যায়নি। কিছুদিন আগেই রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্যে প্রার্থী বাছাই করে জাতীয় বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য নেতারা। তবে সেই বৈঠকে আদৌ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে জানা যায়নি কিছুই।

সর্বভারতীয় বিজেপি রীতি অনুযায়ী, প্রার্থী চূড়ান্ত করার ব্যাপারপ সংসদীয় কমিটি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দরকার। আগামী বুধ অথবা বৃহস্পতিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে রাজ্যের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজ্যের এক বিজেপি নেতার দাবী,রাজ্যে প্রথম দফায় কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। দুটি কেন্দ্র সংরক্ষিত হওয়ার দাবিদার সাধারণ লোকসভা কেন্দ্রের তুলনায় অনেকটাই কম। সেক্ষেত্রে ওই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা হতে পারে। বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলে তিন,চার দফাতেই করবে। ওদিকে তৃণমূল এবং বামফ্রন্টের তরফ থেকেও একদিনে সব প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হলেও বিজেপি এখনো প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো দেওয়াল লিখনের কাজে বিজেপিও কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে গিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সংগঠনের শক্তি অনুসারে দেওয়াল দখলের অলিখিত নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বকে।

এ প্রসঙ্গে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন,বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ইতিহাসে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের প্রচারের কোনো সুযোগই দেওয়া হয়নি। জোর করে দেওয়াল দখল করে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তৃণমূল গায়ের জোর ফলাতে পারবে না।

কারণ লোকসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ হবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয়ে। তাছাড়া যেসব জেলায় বিজেপির বুথ স্তর থেকে শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে সেখানে প্রচার কর্মসূচি জোরকদমেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম,নদীয় সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গের কাজ।

এখানে বেশ কয়েকটি তৃণমূলের শক্তিঘাঁটিতে বিজেপির দেওয়াল লিখনের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই অবস্থা দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া সহ কয়েকটি শাসকদলের দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতেও। এসব ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম করে প্রচার কর্মসূচি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়াশিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!